• ৪০ দিন পর অবশেষে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি বামনগাছির মানুষের
    বর্তমান | ০৫ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: প্রায় ৪০ দিন পর অবশেষে জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেলেন বামনগাছির বাসিন্দারা। বেলগাছিয়ায় নিকাশি সংস্কারে গতি আসতেই জমা জল নামল এলাকা থেকে। এজন্য বিধায়কের তৎপরতাকে সাধুবাদ জানালেন বাসিন্দারা। এদিকে, আগামী দেড় মাসের মধ্যে নিকাশির মূল পাইপলাইন বসে গেলে তাঁরা পাকাপাকিভাবে জল যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন বলে দাবি কেএমডিএর।

    গত কুড়ি মার্চ বেলগাছিয়া ভাগাড়ে বিপর্যয়ের পরেই বন্ধ হয়ে যায় উত্তর হাওড়ার অন্যতম মূল নিকাশি নালা। নিকাশি সংস্কারে কাজ শুরু করেন কেএমডিএর ইঞ্জিনিয়াররা। প্রথমে সিড পাইলিং করে নিকাশি তৈরির কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে তা সফল না হওয়ায় মাইক্রো টানেলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও আসে বিপত্তি। এদিকে প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে জমা জলে ভোগান্তি কয়েকগুণ বাড়ে বামনগাছির বি রোড ও সি রোডের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের। পাড়ার রাস্তা তো বটেই, গৃহস্থের ঘরে ঢুকে পড়ে নর্দমার কালো জল।

    তীব্র গরমে এই জল যন্ত্রণায় জেরবার হয়ে বারবার পথে নামেন বাসিন্দারা। এমন অবস্থায় নিকাশির জট মেটাতে কেএমডিএর সঙ্গে তৎপর হন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীও। শাল বল্লা দিয়ে পুরনো পদ্ধতিতেই নিকাশি তৈরির পরামর্শ দেন তিনি। গত দু’দিনে সেই কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। ফলস্বরূপ রবিবার সকাল থেকেই জল নামতে শুরু করে নিচু এলাকাগুলো থেকে। পাশাপাশি অতিরিক্ত পাম্প চালিয়ে পাঁচটি অঞ্চল থেকে দ্রুত জল সরানো হয়। অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন বাসিন্দারা। 

    এদিন সকালে পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বাপি মান্নাকে নিয়ে এলাকায় যান বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। কেএমডিএ ও বিধায়ককে ধন্যবাদ জানিয়ে বাসিন্দারা বলেন, এতদিন পর জল জমার সমস্যা মিটল। বিধায়ক সব সময়ে আমাদের পাশে থেকেছেন। জানা গিয়েছে, শাল বল্লা দিয়ে নিকাশির প্রাথমিক কাজ শেষ হয়ে গেলেই যেখানে ১৬০০ ডায়া ব্যাসের পাইপলাইন বসানো হবে। বিধায়ক বলেন, বামনগাছির এই এলাকাটি অনেকটাই নিচু। ভাগাড় বিপর্যয়ের ফলে জল জমার সমস্যা এখানেই সব থেকে বেশি হয়েছিল। ৪০ দিন ধরে জল বের করার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলেছে। তবে আগামী বর্ষায় আর জল যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না বাসিন্দাদের।
  • Link to this news (বর্তমান)