• পাহাড়ের নিচে থাকা সেনাবাহিনী গুলির শব্দ পেয়েও আসেনি
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৫ মে ২০২৫
  • পহেলগামের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নিহত সমীর গুহের স্ত্রী। তাঁর দাবি, বৈসরনে পাহাড়ের নিচে সেনা জওয়ান ছিল। অথচ গুলির শব্দ পেয়েও তারা আসেনি।

    প্রসঙ্গত ২২ এপ্রিল পহেলগামে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে বেহালার সমীর গুহের। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর স্বামীহারা শর্বরী গুহ এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর গাফিলতির অভিযোগ করলেন। তাঁর অভিযোগ, বৈসরন উপত্যকার নিচেই মোতায়েন ছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু গুলির শব্দ শুনেও তারা আসেনি।

    সেদিনের সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শর্বরীদেবী বলেন, ‘আমরা ভ্যালিতে ঘুরছিলাম, ছবি তুলছিলাম। হঠাৎ কিছু গুলির শব্দ কানে এল। আমার স্বামী ওখানকার একজন দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলেন, কী হয়েছে? উনি জানালেন, এখানে বাঁদরদের তাড়াতে মাঝেমাঝে শূন্যে গুলি ছোঁড়া হয়। কিন্তু তারপরও গুলির শব্দ চলতে থাকে। তখন দোকানদাররা আমাদের বলেন, আমরা যেন মাটিতে শুয়ে পড়ি। তারপর তো এসব হয়ে গেল। জঙ্গিরা প্রথমে আমাদের বলল, হিন্দু-মুসলমান আলাদা হয়ে যাও। যারা মুসলমান, তারা কলমা পড়ো। তখন আমাদের পাশেই থাকা মুসলিমরা কলমা পড়তে শুরু করল। তারপর হিন্দুদের বেছে বেছে গুলি চালাল। আমার স্বামীর সামনে একজন জঙ্গি এসে গুলি করল। তারপর বলল, মোদি কা আদমি হ্যায়।’

    শর্বরীদেবী বলেন, ‘আমি ওই অবস্থাতেও খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, আমার স্বামী যে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী, ওরা জানল কীভাবে?’ তাঁর মতে, সেনার ব্যর্থতায় এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী তো পাহাড়ের নিচেই ছিল। ওখানে ক্যাম্প আছে তাঁদের। এত গুলির শব্দ, তা শুনেও কেউ আসেনি। এটা তো সম্ভব নয় যে তাঁরা গুলির শব্দ শুনতে পাননি।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)