• আদ্রা-আসানসোল শাখার ট্রেনে লেটই নিয়ম, ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রীরা
    এই সময় | ০৫ মে ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: প্রায় রোজই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেট আদ্রা–আসানসোল শাখার মেমু বা লোকাল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। বিরক্ত নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, এ নিয়ে রেলকে জানালেও বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আদ্রা থেকে বার্নপুরে লোকাল ট্রেনে আসতে বা বার্নপুর থেকে আদ্রা ফিরতে যেখানে এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিটের মতো লাগা উচিত, সেখানে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা প্রায়ই লেগে যাচ্ছে।

    জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে আদ্রা ও বার্নপুরের মধ্যে লাগাতার ট্র্যাফিক ব্লক থাকার জন্য দুপুরের দিকে আদ্রা থেকে আসানসোলে আসার ২টো ৩০ মিনিটের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে প্রায় দিনই বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। তবে সরকারি ভাবে সর্বত্র জানিয়ে যে বাতিল করা উচিত, তা কিন্তু হচ্ছে না। এর ফলে ওই ট্রেন ধরতে এসে যাত্রীরা তুমুল বিপাকে পড়ছেন। আবার টাটা–আসানসোল ট্রেনটি আদ্রা পৌঁছনোর পরে প্রায়ই নানা কারণ দেখিয়ে যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে। আদ্রার দিক থেকে অফিস, স্কুল বা ব্যবসার কাজ শেষ করে যাঁরা ৩টে ৩৫–এর পুরুলিয়া–আদ্রা–আসানসোল ট্রেনে বার্নপুর বা আসানসোলে ফেরেন, সেই ট্রেনটিও বার্নপুর বা আসানসোলে কখনও এক ঘণ্টা, কখনও দু’ঘণ্টা, কখনও আরও বেশি দেরিতে পৌঁছচ্ছে। শনিবারও এই ট্রেনটি প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে আসানসোলে ঢুকেছে।

    এই ট্রেনের অন্যতম নিত্যযাত্রী শিক্ষক মনোজ কুমার বললেন, ‘আদ্রা থেকে এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিটে বার্নপুরে আমার বাড়ি পৌঁছনোর কথা। কিন্তু গড়ে এটি আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় নিচ্ছে প্রতিদিন। কখনও কখনও হয়তো আরও বেশি। জয়চণ্ডী ছাড়িয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকছে বা অন্যান্য স্টেশনেও আটকে রাখা হচ্ছে। আমরা যখন কয়েকজন নিত্যযাত্রী কারণ জানতে যাচ্ছি, আমাদের তখন বলা হচ্ছে, পাওয়ার ব্লক রয়েছে। যদি পাওয়ার ব্লক থাকে, তা হলে এর সামনে দিয়ে মালগাড়ি বা অন্য মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেন যাচ্ছে কী করে? এই প্রশ্নের জবাব কিন্তু স্টেশন আধিকারিকরা দিতে পারছেন না।’

    আসানসোলের গড়াই রোডের বাসিন্দা স্বপন দাসও আদ্রা থেকে প্রতিদিন আসানসোলে যাতায়াত করেন। তাঁরও অভিযোগ, ‘গত কয়েক মাস ধরে প্যাসেঞ্জার ট্রেন, বিশেষ করে দুপুরের পরে এই সেকশনে ট্রেন ঠিকঠাক চলছে না। রেল বোধ হয় মনে করে, এই সব গাড়িতে তো সাধারণ যাত্রীরা যাতায়াত করেন, তাঁদের দেরি হলে কিছু যাবে আসবে না। আর যখন টানা বেশ কয়েক দিন ট্রেনগুলি বাতিল থাকছে, তখন বিভিন্ন স্টেশনে তা আগে থেকে মাইকে প্রচার করা উচিত, যা করা হয় না। স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনও দেওয়া উচিত।’ আদ্রার সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজারকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের অপারেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে খবর নিয়ে বলতে পারব। তবে মাঝেমধ্যে যে পাওয়ার ব্লক করে রেললাইনের নানা ধরনের আধুনিকীকরণের কাজ হচ্ছে, তা আমরা জানি।’

  • Link to this news (এই সময়)