• প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতিকে মারধরের পর শূন্যে গুলি! বহরমপুরে তুমুল উত্তেজনা
    প্রতিদিন | ০৫ মে ২০২৫
  • কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতি এবং তাঁর বন্ধুবান্ধবদের মারধরের অভিযোগ। শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের মধুপুর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

    প্রহৃত মিঠু জৈন ওই এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। প্রাক্তন যুব তৃণমূল সভাপতিও। রবিবার গভীর রাতে তিনি বাড়ির পাশের ক্লাবে বসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মোটরবাইক করে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এরপর ওই ব্যবসায়ীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে তাঁর বন্ধুও আহত হন। দুষ্কৃতীরা শূন্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। চিৎকার শুনে এলাকার লোক ছুটে আসার আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। মিঠু জৈন নামে ওই ব্যবসায়ীর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। অভিযুক্তরা স্থানীয় যুবক বলে অভিযোগ ওই ব্যবসায়ীর। তবে কি কারণে তাঁকে মারধর করা হল, সে সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারছেন না ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বহরমপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

    এদিকে ওই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও বহরমপুর টাউন তৃণমূল যুব সভাপতি পাপাই ঘোষ বলেন, “মিঠু জৈন একসময় তৃণমূল করতেন। এখন বিজেপির হয়ে কাজ করেন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বহরমপুর সফর। তৃণমূল কর্মীরা সাধারণ মানুষকে আহ্বানে বাড়ি বাড়ি যান। সেই সময় মধুপুরের বাবুল বোনার ক্লাবে বসেছিলেন মিঠু জৈন ও তার দলবল। তৃণমূল কর্মীদের ওই রাস্তায় যেতে দেখে অশান্তি শুরু করেন মিঠু জৈন এবং তাঁর দলবলের লোকজন। স্থানীয়রাই তার প্রতিবাদ করে। তৃণমূল কর্মীরা কেউ মিঠু জৈনকে মারধর করেনি বলে দাবি পাপাইয়ের।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)