স্টাফ রিপোর্টার: তিনদিনের মুর্শিদাবাদ সফর শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার তিনি কলকাতা থেকে রওনা দিচ্ছেন। সাড়ে ১১টা নাগাদ পৌঁছবেন বহরমপুরে। এখানে সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা তাঁর। আজ সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করবেন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী সামশেরগঞ্জ যাবেন। সম্প্রতি ধুলিয়ানে সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে তাঁর এই সফর। প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তাঁদের বিশ্বাস ও ভরসা জোগাবেন মমতা। ইতিমধ্যেই আর্থিক সাহায্য, ক্ষতিপূরণ-সহ প্রশাসনিক স্তরে সমস্ত কাজ চলছে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে সেসব বিষয়ে পর্যালোচনা করবেন। এরপর সুতির ছাবঘাটি ময়দানে একটি জনসভা রয়েছে তাঁর। একাধিত পরিষেবা প্রদান হবে ওই সভা থেকে। এছাড়া প্রচুর প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হবে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতায় ফেরার কথা।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে গত মাসে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে যে বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করে শান্তি বজায় রাখতে ডিজি-সহ রাজ্য পুলিশের সমস্ত কর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ ছিল, কোনওভাবেই অপরাধীরা যেন ছাড়া না পায়। সেই প্রেক্ষিতেই ধরপাকড়ের কাজ চলছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতিতে অভিযুক্ত পুলিশকর্তাদেরও। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই সামশেরগঞ্জ থানার ওসি, এসআই-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে এলাকার সুরক্ষায়।
মুখ্যমন্ত্রী কেন নিজের অশান্ত এলাকায় গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না? সেসময় এই প্রশ্নও তুলেছিল বিরোধীরা। তার জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এখন সামশেরগঞ্জ যাওয়ার সময় নয়, পরিস্থিতি বুঝে সময়মতো তিনি অবশ্যই যাবেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল সেখানে যেতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকেও না যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু সেই বারণ শোনেননি সিভি আনন্দ বোস। তিনি স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে গিয়েছিলেন। জনতার তাঁকে ঘিরে নিজেদের সমস্যার কথাও বলার পাশাপাশি ক্ষোভও উগরে দেন। পরে মুর্শিদাবাদ পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে রাজ্যপাল ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট পাঠান। তবে আপাতত পুলিশের সক্রিয়তায় মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি শান্ত। তাই নিজের কথা রাখতেই সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ যাত্রা।