সুমন ঘোষ, খড়্গপুর
মহিলাদের জন্য নতুন মার্কেট কমপ্লেক্স করতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। সেখানে থাকবে প্রতিটি ব্লকের ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র। ফলে খুব সহজেই এক ব্লকের মানুষ অন্য ব্লকের পছন্দের জিনিস কিনতে পারবেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়েই চালানো হবে এই মার্কেট। এই মার্কেট কমপ্লেক্সটি তৈরি করা হবে মেদিনীপুর শহরের ডেভিস ট্যাঙ্কে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, 'মার্কেট কমপ্লেক্সের জন্য জেলা পরিষদ থেকে আমরা ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছি। শিগগির মার্কেট কমপ্লেক্সের কাজ শুরু হবে।' পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ২১টি ব্লক রয়েছে। প্রতিটি ব্লকের কিছু না কিছু ঐতিহ্যবাসী জিনিস রয়েছে। যেমন সবংয়ের মাদুর, দাঁতনের লোহার দা, কাটারি, কুড়োল, কেশপুরের জরির কাজ। সে সবই বিক্রি করা হবে একটি জায়গায়।
সভাধিপতি জানান, ডেভিস ট্যাঙ্কে জেলা পরিষদের জমি রয়েছে। ইতিমধ্যেই সাড়ে ৫ ডেসিমেল জমি চিহ্নিতও করা হয়ে গিয়েছে। সেখানেই দোতলা মার্কেট কমপ্লেক্স করা হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, সেখানে প্রায় ৩০টি দোকান ঘর তৈরি করা যেতে পারে। প্রথমে ২১টি ব্লকের ২১টি স্বনির্ভর দলের মহিলাদের দেওয়া হবে দোকান। তার পরে শহরের কোনও মহিলা যদি দোকান নিতে চান, তাঁদের আবেদন করতে হবে জেলা পরিষদে। জেলা পরিষদ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেই দোকান বণ্টন করবে। তবে এই দোকান নিলে জেলা পরিষদকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়াও দিতে হবে।
সভাধিপতির সংযোজন, 'এর ফলে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ যেমন এক জায়গার জেলার বিভিন্ন প্রান্তের সামগ্রী পাবেন, তেমনই লাভবান হবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। আর ভাড়া থেকে জেলা পরিষদেরও কিছু আয় হবে।'
কোন দোকান, কোন ব্লকের সেটা বোঝানোর জন্যও প্রতিটি দোকানের সামনে ব্লকের নাম উল্লেখ করা থাকবে। যাতে কারও বুঝতে অসুবিধে না-হয়। অর্থাৎ, কেউ মাদুর কিনতে গেলে সবং ব্লক লেখা দোকানে ঢুকলেই পেয়ে যাবেন পছন্দের জিনিস। ব্লকের ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীর পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি করা নানা সরঞ্জামও দোকানে রাখা হবে বলে সভাধিপতি জানান।