• জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের পরিবার কলকাতায়, 'যার যা মর্জি', মন্তব্য মমতার
    প্রতিদিন | ০৫ মে ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্তির পর এই প্রথমবার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ধূলিয়ানে ক্ষতিগ্রস্ত এবং জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা তাঁর। তবে তার আগেই মুর্শিদাবাদ ছেড়ে কলকাতায় চলে এসেছেন নিহতদের পরিবারের লোকজন। বিজেপি তাঁদের নিয়ে ঘৃণ্য রাজনৈতিক খেলা খেলছে বলেই অভিযোগ। ডুমুরজলায় দাঁড়িয়ে এই ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রীও। যাঁরা দেখা করতে চাইবেন, তাঁদের পাশে থাকার আরও একবার আশ্বাস দেন তিনি।

    সোমবার মুর্শিদাবাদ রওনার আগে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “ধূলিয়ান থেকে দুই পরিবারকে নিয়ে চলে এসেছে। ঠিক আছে চলে আসুন। যার যা মর্জি। আমরা আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা নেননি। অথচ বিজেপি নেতারা দিয়েছেন। যদি কেউ না নেন, না আসেন ? আমাদের কিছু করার নেই। যিনি দেখা করতে আসবেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।”

    সামশেরগঞ্জে যে অশান্তি হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করতে ডিজি-সহ রাজ্য পুলিশের সমস্ত কর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলেন মমতা। তাঁর নির্দেশ ছিল কোনওভাবেই অপরাধীরা যেন ছাড়া না পায়। সেই প্রেক্ষিতেই ধরপাকড়ের কাজ চলছে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতিতে অভিযুক্ত পুলিশকর্তাদের বিরুদ্ধেও। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় বলেছিলেন, এখন সামশেরগঞ্জ যাওয়ার সময় নয়, পরিস্থিতি শান্ত হলে তিনি যাবেন। রাজ্যপাল তাঁর বারণ শোনেননি। নিজের কথা রাখতেই পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর সোমবার মমতার মুর্শিদাবাদ যাত্রা। এদিন তিনি আরও একবার বলেন, “মুর্শিদাবাদে আগেই যেতে পারতাম। শান্তিস্থাপন না হওয়া পর্যন্ত গিয়ে বিরক্ত করতে চাইনি। পরিস্থিতি অনেকদিন নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে। তবে মাঝে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ছিল। অনেকদিন আগে ঘোষণা করেছিলাম। সেসব কাজ সেরে আজ যাচ্ছি।”

    মঙ্গলবার তিনি সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণ-সহ যা যা করার সবকিছুর কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে সেসব বিষয়ে পর্যালোচনা করবেন। এরপর সুতির ছাবঘাটি ময়দানে একটি জনসভায় উপভোক্তাদের পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি রয়েছে। ওই সভা থেকে প্রচুর প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)