• অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কেন ভাঙা হল? হাই কোর্টে রুফটপ রেস্তরাঁর মালিকরা, দায়ের মামলা
    প্রতিদিন | ০৫ মে ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: আইন না মেনে শহরে একাধিক রুফটপ রেস্তরাঁ চলছে, এই অভিযোগ ওঠার পর কোপ পড়েছে রেস্তরাঁগুলিতে। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তের নামীদামি রেস্তরাঁ রুফটপের অংশ ভেঙে ফেলতে ইতিমধ্যে নোটিস পাঠিয়েছে পুরসভা। কোনও কোনও রেস্তরাঁর ছাদ ভেঙে ফেলাও হয়েছে। রাতারাতি এমন ঘটনায় মালিকদের অনেকেরই মাথায় হাত। শিয়রে সংকট কর্মীদেরও। মুহূর্তের মধ্যে কর্মহীন হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় কয়েকটি রুফটপ রেস্তরাঁর মালিক পুরসভার পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হলেন। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করতে চেয়ে আবেদন জানালেন তাঁরা। সেই অনুমতি মিলেছে বলে খবর। এদিন দুপুরেই শুনানি।

    সোমবার হাই কোর্টে রুফটপ রেস্তরাঁ মালিকদের একাংশের আবেদন, ছাদে রেস্তরাঁ চালানোর জন্য তাঁদের সব অনুমতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুরসভার তরফে শহরের সব রুফটপ রেস্তরাঁকে একসারিতে ফেলে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। তা কেন হবে? এই প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করার আবেদন জানায় রেস্তরাঁ মালিক সংগঠন। জানা যাচ্ছে, বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। দুপুর ২টো নাগাদ শুনানির সম্ভাবনা তাঁর বেঞ্চে।

    গত সপ্তাহে বড়বাজারের এক হোটেলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যুর পর শহরের হোটেল, রেস্তরাঁ, ক্যাফে নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও হোটেল বা রেস্তরাঁর সিঁড়ি, ছাদের অংশ আটকে কোনও ব্যবসা করা যাবে না। তা খালি রাখতে হবে। আগুনের মতো বড় বিপদের হাত থেকে সুরক্ষার জন্যই এই নির্দেশ তাঁর। এরপরই শহরের সমস্ত রুফটপ রেস্তরাঁ, বার, ক্যাফে বন্ধ করে দিতে তৎপর হয়ে ওঠে কলকাতা পুরসভা। গত শনিবার ৮৩ টি রুফটপ রেস্তরাঁ বন্ধের নোটিস পাঠানো হয়। অন্যথায় সেসব ভেঙে ফেলা হবে বলে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে অবশ্য দু,একটি রেস্তরাঁয় পুরসভার তরফে ভাঙাভাঙির কাজও শুরু হয়েছে।

    এখানেই আপত্তি তুলছেন রুফটপ রেস্তরাঁর মালিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি,  নিজেদের ব্যবসা চালাতে প্রয়োজনীয় সমস্ত অনুমোদন নেওয়া আছে। তাহলে কেন তাঁদের রেস্তরাঁয় কোপ পড়ছে? এনিয়ে পুরসভার পদক্ষেপের বিরোধিতা করেই সোমবার হাই কোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি চান তাঁরা। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত মামলার অনুমতি দেন। দুপুরেই শুনানির সম্ভাবনা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)