পুলিশই অত্যাচার করছে, CBI চেয়ে হাইকোর্টে জাফরাবাদে নিহতদের পরিবার
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ মে ২০২৫
ভরসা নেই রাজ্য পুলিশে, মুর্শিদাবাদ দাঙ্গায় জাফরাবাদে বাবা - ছেলেকে কুপিয়ে খুনের সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল পরিবার। সোমবার যখন মুখ্যমন্ত্রী মুর্শিদাবাদের দাঙ্গা বিধ্বস্ত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে দাবি করছেন, তখনই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেখানে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে পুলিশি নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
এদিন সকালে শুভেন্দু অধিকারির বিধাননগরের বাসভবন থেকে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছন নিহত হরপ্রসাদ দাসের স্ত্রী ও পুত্রবধূ। সজলবাবু বলেন, ‘পুলিশকে কোনও বিশ্বাস নেই। ওদের রাস্তা থেকে অপহরণ করতে পারে।’ হাইকোর্টে পৌঁছে হরপ্রসাদ দাস ও চন্দন দাস খুনে রাজ্য পুলিশের তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আবেদন করেন তাঁরা। একই সঙ্গে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাফরাবাদে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প তৈরির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, পুলিশ তাঁদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
নিহত হরপ্রসাদ দাসের স্ত্রী বলেন, ‘রাজ্য পুলিশের ওপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। রাজ্য পুলিশ কোনও তদন্তই করছে না। উলটে আমাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। আমাদের অপহরণ করা হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। আমরা স্বেচ্ছায় এখানে এসেছি।’
উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে
এদিন আদালত চত্বরে পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্য অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি বলেন, কাল যে পুলিশ আধিকারিক গিয়েছিলেন তিনি রিলস বানানোর জন্য বিখ্যাত। যে মহিলা কন্সটেবল গিয়েছিলেন তাঁর কাছে পরিচয়পত্র ছিল না। যে তদন্তকারী আধিকারিক গিয়েছিলেন তাঁর কোনও উর্দি ছিল না। সব থেকে বড় কথা পুলিশের কাছে কোনও নোটিশ ছিল না। সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সামনে তাঁদের দাঁড় করাতে পুলিশ হরগোবিন্দ দাসের পরিবারকে অপহরণ করতে গিয়েছিল।
বলে রাখি, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করতে কলকাতায় এসে বিধাননগরের একটি বাড়িতে উঠেছিলেন জাফরাবাদে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। রবিবার দুপুরে তাদের অপহরণ করা হয়েছে, এই দাবি করে সেই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। দরজা না খোলায়, দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে পুলিশ। যদিও বিজেপি নেতাদের বাধার মুখে পরিবারটিকে নিয়ে যেতে পারেনি তারা। এর পর শুভেন্দু অধিকারীর বিধাননগরের বাড়িতে আশ্রয় নেয় নিহত হরগোবিন্দবাবুর পরিবার।