দিঘায় জগন্নাথ মন্দির ও সংলগ্ন চত্বরকে কি ‘জগন্নাথ ধাম’ বলা যায়? মন্দির উদ্বোধনের শুরু থেকেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এর মধ্যে মন্দিরের বাইরে থাকা ‘জগন্নাথ ধাম’ লেখাটি সোমবার সকাল থেকে উধাও। যা এই বিতর্কে ঘৃতাহুতি দিল বলেই মনে করছেন অনেকে। ওডিশা সরকারের আইনি পদক্ষেপের কারণেই ওই লেখা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি উড়িয়ে ইস্কনের সহ সভাপতি রাধারামন দাস বলেন, ‘উদ্বোধনের জন্য দিঘার জগন্নাথ ধামের পাশে ও দিঘা গেটের কাছে দুটি ‘জগন্নাথ ধাম’ অস্থায়ী ভাবে লেখা হয়েছিল। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষ। তাই সেগুলি খুলে নেওয়া হয়েছে।’
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরকে ‘ধাম’ বলা নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন সকালে শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে লেখেন, ‘পুরী এবং দিঘার মধ্যে সমতার তৈরির জন্য অনৈতিক উপায় অবলম্বন করা হয়েছে। বিতর্কের মাঝেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে জগন্নাথ ধাম সাইনবোর্ডটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’
যদিও এর মধ্যে কোনও বিতর্ক দেখছেন না রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। তিনি বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা যাঁদের স্বভাব, তাঁরা এই ধরনের বিষয় তুলে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেন। সেটাই করেছেন। জগন্নাথ ধামের সামনে স্থায়ী দিক নির্দেশিকা রয়েছে। যদি ওডিশা সরকারের ভয়ে সরিয়ে ফেলা হতো, তা হলে ওই লেখাগুলিও সরিয়ে ফেলা হতো। উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকা সাজানোর জন্য ওই বোর্ড অস্থায়ী ভাবে লেখা হয়েছিল। পরবর্তী সময় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আবার স্থায়ীভাবে লেখা হবে।’