একদিকে ভারত-পাক সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। যাতায়াত থেকে পণ্যে ব্যান কূটনৈতিক কারণে। অন্যদিকে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তেও অদ্ভুত কারণে ব্যাহত আমদানি, রপ্তানি। ফলে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতির আশঙ্কা। জানা গিয়েছে, ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকার কারণে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বন্দর পেট্রাপোলে বন্ধ পণ্য পরিবহণ। সীমান্তে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার পণ্যবাহী ট্রাক।
জানা গিয়েছে, গত সাতদিন ধরে বসে গিয়েছে শুল্ক দফতরের সার্ভার। ফলে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে। যার ফলে বাংলাদেশে পণ্য রফতানি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধাক্কা লেগেছে পণ্য আমদানিতেও। সমস্যা সমাধানে দ্রুত হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ই-মেল করেছেন শুল্ক দফতর অনুমোদিত আমদানি-রফতানিকারী সংগঠন পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-র সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী। বর্তমানে সীমান্তে বাণিজ্যের কাজ প্রায় পুরোটাই ইন্টারনেট নির্ভর।
শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, ২৮ এপ্রিল দফতরের নির্দিষ্ট ‘সার্ভার’ বসে যাওয়ায় সংযোগ চলে যায়। চেষ্টা করেও তা আর ফেরানো যায়নি সোমবার পর্যন্ত। কী কারণে সংযোগ গিয়েছে, তা বোঝাও যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়। এরপর থেকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ম্যানুয়ালি শুধু পচনশীল পণ্য ছাড়া আর কিছু রফতানি করা যাচ্ছে না বলেও জানা গিয়েছে। ট্যাবের মাধ্যমে কোনও রকমে তা করা হচ্ছে।
সংগঠনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘কেন নেট সংযোগ ফিরছে না, তার সদুত্তর মিলছে না। কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অর্থমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে।’ বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত বলেই জানান তিনি। এখন কতক্ষণে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় স্থাপন করে সীমান্ত বাণিজ্য স্বাভাবিক করা যায় সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।