গত এপ্রিল মাসে ধুলিয়ান ও সামশেরগঞ্জ এলাকায় অশান্তির ঘটনার পরে সোমবারই প্রথম মুর্শিদাবাদ গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলার প্রশাসনিক কর্তা, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এ দিন বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকের পরেই মমতা বলেন, ‘সব তথ্য আমি চেক করেছি। কিছুটা বাকি আছে। বাকি তথ্য সামনে এলে আমি সংবাদমাধ্যম্যের সামনে তুলে ধরব। কারা করেছে, কী ভাবে প্ল্যান করে করেছে…।’
মুর্শিদাবাদের অশান্তির ঘটনা পরিকল্পিত বলেও মত মমতার। বহিরাগতরা মুর্শিদাবাদে এসে অশান্তি তৈরি করেছে বলেও দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘মূলত মুর্শিদাবাদের দুটো পার্টে গোলমাল হয়েছে। সেটা কারা করেছে, কী ভাবে পরিকল্পনা করেছে, আমি সব ক্রস চেক করেছি।’ বিষয়টি নিয়ে বিজেপির দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, ‘দুটি-তিনটি লোক আছে, যারা এই গন্ডগোল পাকাচ্ছে। তারা নাকি বিরাট বিরাট ধর্ম নেতা। অনেক বড় বড় কথা বলেন। তাদের আর্থিক উৎস বিজেপি বলে দেবে।’
সোমবার দু’দিনের জন্য মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে সোমবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ নামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার। এর পরে তিনি গাড়িতে সরাসরি বহরমপুর সার্কিট হাউসে চলে যান। সেখানেই বৈঠক করেন তিনি। আগামীকাল, মঙ্গলবার সুতি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সুতির বিডিও অফিসে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় শহিদ জওয়ানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানে অশান্তির ঘটনায় মৃতদের পরিবারের লোকেরা বিধাননগরে রয়েছেন। তাঁরা ইতিমধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওঁদের বাড়িতে গিয়েও আমার দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপি ওঁদের সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বিজেপির বোঝা উচিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যারা করে, তাদের আমরা অপরাধী বলি।’