আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে ফের প্রতারণার অভিযোগ। নিজেকে ভারতীয় সেনার মেজর পরিচয় দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক যুবক। ধৃতের নাম মহম্মদ শাহজাদা। বয়স ৩৬ বছর। কলকাতার গার্ডেনরিচের বাসিন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতা পুলিশের অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, আমিদ নামে উত্তরপ্রদেশের এক বাসিন্দা ও তাঁর বন্ধুর সঙ্গে আলাপ হয় শাহজাদার। যে নিজেকে ভারতীয় সেনার মেজর পদমর্যাদার আধিকারিক বলে পরিচয় দেয়। সে তাঁর কোটায় ওই দুই যুবককে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয়। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে উত্তরপ্রদেশের ওই যুবকের কাছ থেকে প্রথমে ছয় লক্ষ ১৩ হাজার টাকা নিয়েছিল শাহজাদা। বাকি টাকা পরে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিল যুবক। চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই যুবককে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
এরপর সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জাল অ্যাডমিট কার্ডও দিয়েছিল অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষাও করানো হয়। এর পরে শাহজাদা ও তাঁর দলবল ওই যুবকের কাছ থেকে আরও ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে। প্রথম দফায় টাকা নেওয়ার সময় শাহজাদা সেনা অফিসারের পোশাক পরেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সত্যতা যাচাই করার জন্য উত্তরপ্রদেশের ওই যুবক ফোর্ট উইলিয়ামে যোগাযোগ করেন। তখন জানতে পারেন ওই নামে কোনও ব্যক্তি ভারতীয় সেনার উক্ত আধিকারিক পদে নেই। তখন হেস্টিংস থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শাহজাদাকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে রবিবার আদালতে তোলা হলে ১৩ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বাকি চার লক্ষ টাকা দেওয়ার অজুহাত দিয়ে হেস্টিংস থানা এলাকায় শনিবার ডেকে পাঠানো হয় শাহজাদাকে। শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের পরিকল্পনা মতো সেই টাকা নিতে এসেই পুলিশের জালে ধরা পরে অভিযুক্ত।
পুলিস সূত্রের খবর, প্রতারক শাহজাদা এই গ্যাং এর মূলচক্রী নয়। এর পিছনে আরও বড় কোনও মাথা ও একাধিক ব্যক্তিও থাকতে পারেন। যুক্ত আছে আরও বড় চক্র। একাধিক রাজ্যে এই চক্রের জাল ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছে আর কারা এর সঙ্গে জড়িত, এবং এই দলের মূল পাণ্ডা কে বা কারা। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী জানান, এই প্রতারণার পিছনে একটি চক্র সক্রিয়। একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে আছে এই প্রতারণার জাল। আরও তিন অভিযুক্ত পলাতক। তাঁরাই প্রতারণার মূলচক্রী।