মুর্শিদাবাদে অশান্তির পর গ্রেপ্তারির আশঙ্কায় ভুগছেন কার্তিক মহারাজ!
প্রতিদিন | ০৬ মে ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাকপুর: গ্রেপ্তারির আশঙ্কায় ভুগছেন কার্তিক মহারাজ! অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্যই গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে আশঙ্কা তাঁর। যদিও ভীত বা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান। উল্লেখ্য, ওয়াকফ অশান্তির পর সোমবারই নবাবের জেলায় গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সোমবার মুর্শিদাবাদ পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অশান্তি নিয়ে নাম না করে ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজকে নিশানা করেছেন। বলেছেন, বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গীয় হিন্দু সুরক্ষা মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত শ্যামনগরে রত্নেশ্বর ঘাট সংলগ্ন রেলওয়ে ময়দানে এক অনুষ্ঠানে আসেন কার্তিক মহারাজ। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জবাবে তিনি বলেন,”শপথ গ্রহণের দিনই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ভারত সেবাশ্রম ভালো কাজ করে, আবার কোথাও কোথাও দাঙ্গা করে। সারা ভারতবর্ষে ভারত সেবাশ্রম রয়েছে। কোনও জায়গায় এমন ঘটনা উনি প্রমাণ দিতে পারবেন? মুর্শিদাবাদ জেলায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভারত সেবাশ্রম কাজ করছে। ডিএম পুলিশ সকলের কাছে উনি রিপোর্ট চাক।”
এদিন নাম না করে হিন্দু ধর্মস্থানের দায়িত্বে থাকা কর্তা ব্যক্তিদের নিশানা করেছেন মমতা। বিজেপি ও ধর্মীয় নেতাদের একযোগে আক্রমণ করে বলেন, “গণ্ডগোল কারা করিয়েছেন, সবাই জানে। এরা নাকি ধর্মের নেতা! মুর্শিদাবাদে কী হয়েছিল আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে। তবে আর কিছু প্রমাণ হাতে আসবে। তারপর সব সকলের সামনে তুলে ধরব।” এ প্রসঙ্গে কার্তিক মহারাজের সাফাই, “আমার এত বড় ক্ষমতা যে আমি ৪৮ ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখব! আর আমি যদি দাঙ্গা করাই তাহলে মুর্শিদাবাদে কেন, যেখানে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা সেখানে করব।” এরপরই গ্রেপ্তারির আশঙ্কা প্রকাশ করে তাঁর দাবি, “উনি আমার কথা বলছেন। উনি তো প্রশাসনের সর্বময়কর্তা। চাইলেই উনি মুহুর্তের মধ্যে আমাকে পুলিশ দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দিতে পারেন। কারণ আমি এর প্রতিবাদ করছি। যেখানেই যাচ্ছি হাজারে হাজারে মানুষ আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে এতে আমি ভীত নই। নিরাপত্তাহীনতাও ভুগছি না। কারণ আমি একজন সন্ন্যাসী।” যদিও কোথাও একবারের জন্য কার্তিক মহারাজের নাম নেননি মমতা।