অর্ণব দাস, বারাকপুর: তীব্র গরম, মাঝে ঝড়বৃষ্টি, ঘনঘন তাপমাত্রার পরিবর্তন। তাতে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। টিটাগড় পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা-সহ পার্শ্ববর্তী খড়দহ ও পানিহাটি পুর এলাকায় ছড়াল ডায়রিয়া। পেটের অসুখ নিয়ে প্রায় ৫০ জন ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। বেশিরভাগের চিকিৎসা চলছে খড়দহের বলরাম সেবা মন্দির হাসপাতালে।
বিগত তিনদিনে টিটাগড়-সহ সংলগ্ন এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বলে খবর। আর তাতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পানিহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ দে’র দাবি, “১নম্বর ওয়ার্ডের একজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।” খড়দহ পুরসভার চেয়ারম্যান নীলু সরকারের বক্তব্য, তাঁর পুর এলাকার তিনজনের শরীরে ডায়রিয়া ধরা পড়েছে। স্বাভাবিকভাবে টিটাগড় পুরসভার পানীয় জলের সমস্যা থেকেই এই রোগ ছড়িয়েছে বলেই দাবি করা হচ্ছে।
খড়দহের বলরাম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে খড়দহ যুব তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দু চৌধুরীর মায়ের। হাসপাতালে যাতায়াত সূত্রে তিনি জানিয়েছেন, শনিবার রাতে প্রথম বলরাম হাসপাতালের নিরপত্তারক্ষী তরুণ বাগ ও তাঁর মা ভর্তি হন। তাঁদের বাড়ি খড়দহ পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। তরুণের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায় তাঁকে বলরাম হাসপাতাল থেকে বেলেঘাটা আইডি-তে ভর্তি করাতে হয়। তারপর থেকে টিটাগড় এলাকার বহু বাসিন্দার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর মিলেছে। খড়দহ এবং পানিহাটি পুর এলাকারও অনেকে ভর্তি হয়েছে। সংখ্যাটা আনুমানিক ৬০-৬৫ জন হবে। বলরাম হাসপাতালের শিশু বিভাগের এক চিকিৎসক-সহ আরও কয়েকজন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
এনিয়ে টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান কমলেশ সাউ জানিয়েছেন, “১৪ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ১৫-২০জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার সকালে আমি ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় দু-একটি পানীয় জলের কলে কোনও সমস্যা হয়েছে। গোটা এলাকায় সমস্যা নেই। পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে এদিনই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আতঙ্কিত হবেন না। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গল, বুধবারের মধ্যে এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প করা হবে।”