• উধাও বড়বাজারে হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৩জনের গয়না, মোবাইল! লালবাজারের দ্বারস্থ তামিলনাড়ুর পরিবার
    প্রতিদিন | ০৬ মে ২০২৫
  • অর্ণব আইচ: জোড়াসাঁকোর মেছুয়ায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে দুই সন্তান ও শ্বশুরের। তিনজনের দেহ নিয়ে দম্পতি ফিরে গিয়েছেন তামিলনাড়ুর কারুরে। কিন্তু তামিলনাড়ুর বাসিন্দা টি প্রভুর অভিযোগ, মৃত পরিবারের তিন সদস্যের অলংকার উধাও হয়েছে। হদিশ নেই টি প্রভুর শ্বশুর এস মুত্থুকৃষ্ণানের মোবাইলও। তামিলনাড়ু থেকেই কলকাতা পুলিশকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে যে, এই ব‌্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ।

    গত মঙ্গলবার রাতে বড়বাজারের মেছুয়াবাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের সময় টি প্রভু ও তাঁর স্ত্রী মধুমিতা খাবার কিনতে গিয়েছিলেন। ঘরের ভিতর মধুমিতার বাবার সঙ্গে ছিলেন নাবালক ছেলে ও মেয়ে। অগ্নিকাণ্ডের পর বিষাক্ত গ‌্যাসে মৃত্যু হয় তিনজনের। প্রভুর দাবি, ওই অলংকার ও মোবাইলগুলি যে শুধু মূল‌্যবান, এমনটা নয়। এগুলি প্রভু ও মধুমিতার ছেলে রিথান, মেয়ে দিয়ার শরীরে থাকা শেষ স্মৃতি। মৃত্যুর আগে শেষবার মুত্থুকৃষ্ণান তাঁর খোয়া যাওয়া মোবাইলটি থেকেই ফোন করে মেয়ে মধুমিতাকে জানিয়েছিলেন যে হোটেলে আগুন লেগেছে। ঘরে ধোঁয়া ভর্তি।

    প্রভু কলকাতা পুলিশকে জানিয়েছেন যে, তাঁর শ্বশুরের মানিব‌্যাগ, মোবাইল ছাড়াও খোয়া গিয়েছে সোনার চেন ও আংটি। ৩ বছর আট মাসের ছেলের ডান হাতে থাকা একটি বালা, দশ বছরের মেয়ের গলায় থাকা চেনও উধাও। সেগুলি ফেরত পাওয়ার জন‌্য কলকাতা পুলিশকে প্রভু অনুরোধ জানান। লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, দেহ উদ্ধারের সময় মৃতদের দেহে ওই অলংকারগুলি ছিল কি না, তা জানা সম্ভব নয়। অভিযোগকারীরা দেহগুলি শনাক্ত করেছিলেন। তাঁরাও সম্ভবত শোকের কারণে অলংকারের বিষয়গুলি জানাননি। ময়নাতদন্তের সময় সেগুলি খুলে রাখা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের সময় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে এই ব‌্যাপারে কথা বলবেন পুলিশ আধিকারিকরা। এ ছাড়াও হোটেলের যে ৩১৩ রুমে তাঁরা ছিলেন, সেখানেও ফের তল্লাশি চালানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)