রেলের পার্সেল ভ্যানের বেসরকারিকরণ, কাজ হারানোর আশঙ্কা, সরব বুকিং এজেন্টরা
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ মে ২০২৫
হাওড়া ডিভিশিনে ট্রেনের ব্রেক ভ্যান বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে সরব হলেন বুকিং এজেন্টরা। তাঁদের দাবি, বেসরকারিকরণ হলে কয়েক হাজার এজেন্ট এবং শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বেন। তারই প্রতিবাদে সোমবার সপ্তাহের প্রথম দিনে এজেন্টরা পার্সেল বুকিং বন্ধ রাখেন। এর ফলে চরম হয়রানির শিকার হন যাত্রী এবং ব্যবসায়ীরা। পণ্য বুকিং ছাড়াই হাওড়া থেকে রওনা দেয় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। এ বিষয়ে রেলের নিরাপত্তার কারণেই এই পদক্ষেপ।
হাওড়ায় সমস্ত ট্রেনের ব্রেক ভ্যান বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এজেন্টদের। তাঁদের দাবি, এতদিন ট্রেনের সামনে এবং পিছনের দুটি ব্রেক ভ্যানের মধ্যে সামনেরটি বেসরকারি সংস্থার হাতে ছিল এবং পিছনের ভ্যানটি এতদিন রেল নিজের হাতেই রেখেছিল। তবে এবার পিছনের ব্রেক ভ্যানটিও বেসরকারিকরণ করতে চলেছে রেল। আগামী ৮ মে টেন্ডারের মাধ্যমে নিজে দেওয়া হবে ব্রেকভ্যান। তারই প্রতিবাদ করেন বুকিং এজেন্টরা। ইতিমধ্যেই তাঁরা এ বিষয়ে আধিকারিকদের পাশাপাশি জিআরপিকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এর ফলে হাজার-হাজার এজেন্ট এবং শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়বেন। জানা গিয়েছে, বুকিং বন্ধ থাকার ফলে সোমবার রেলের ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছে রেল। এবিষয়ে হাওড়ার ডিআরএম সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে
এদিকে, এজেন্টদের আরও দাবি, এর ফলে সাধারণ মানুষের আর্থিক ক্ষতি হবে। তাঁদের দাবি, বেসরকারিকরণের ফলে ট্রেনের গন্তব্য পর্যন্ত বুকিং করতে হবে। তাতে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ দিতে হবে যাত্রীকে। তাছাড়া, আগে হাওড়া-গুয়াহাটি রেলের পার্সেল বুকিং ছিল প্রতি কেজিতে সাড়ে ৪ টাকা, তা বাড়িয়ে কেজি প্রতি বুকিং বাবদ ১২টাকা থেকে ১৪ টাকা নেওয়া হবে। তাঁদের আরও আশঙ্কা এরফলে জিনিসপত্রের দামও বাড়বে।
যদিও পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার উদয়শংকর ঝা জানিয়েছেন, ট্রেনের শেষ যাত্রাস্থল পর্যন্ত লাগেজ বুকিং করতে হবে না। তবে বেশি ভাড়া নিয়ে তিনি জানান, বুকিংয়ের মাল চুরি হয়ে গেলে আগে রেলকে ক্ষতিপূরণ দিতে হত। তবে লিজে দেওয়া হলে সেই ঝামেলা থাকবে না।