নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ ও সংবাদদাতা, মানিকচক: খাতায় কলমে বর্ষা আসতে এখনও এক থেকে দেড় মাস বাকি। বর্ষা আসার আগেই নির্মাণ করতে হবে ভূতনির চরের গঙ্গার রিং বাঁধ। নবান্ন থেকে এমন নির্দেশ মিলতেই তৎপর হয়েছে মালদহ জেলা প্রশাসন। কিন্তু জমিদাতাদের একাংশ বেঁকে বসায় রিং বাঁধ তৈরির কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। সমস্যা সমাধানে সোমবার জমিদাতাদের নিয়ে বৈঠকে বসে প্রশাসন। যদিও ব্লক স্তরের এই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া বলেন, রিং বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই কাজ সম্পন্ন হবে।
মালদহ জেলার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলির মধ্যে মানিকচক ব্লকের ভূতনি অন্যতম। ধীর ধীরে গোটা ভূতনির চর তলিয়ে যেতে বসেছে গঙ্গা নদীতে। গত বছর বর্ষায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ায় তিন মাস জলবন্দি দশা কাটিয়েছেন বাসিন্দারা।
বাঁধ নির্মাণের জন্য জমিদাতারা সরকারি নথি ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে সোমবার ব্লক প্রশাসন এবং ভূতনি থানার পুলিস আধিকারিকদের উপস্থিতিতে জমিদাতাদের নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠক শেষেও নিজের দাবিতেই অনড় জমিদাতারা। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মানিকচকের বিডিও অনুপ চক্রবর্তী, ভূতনি থানার ওসি সুবীর সরকার সহ সেচদপ্তরের আধিকারিক ও উত্তর চণ্ডীপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সহ জমিদাতারা।
প্রশাসনের তরফে জমিদাতাদের রিং বাঁধ নির্মাণের কাজে বাধা না দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। পাশাপাশি জানানো হয় খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু বৈঠক শেষেও জমির ক্ষতিপূরণ এবং সরকারি নোটিসের দাবিতে অনড় থাকেন জমিদাতারা। শেষে বৈঠক চলাকালীন সময়েই তাঁরা বেরিয়ে যান। এবিষয়ে এক জমিদাতা গৌর মণ্ডল বলেন, প্রশাসন আমাদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে। তারপর জমির নোটিস দেওয়া হবে জানিয়েছে। কিন্তু যতক্ষণ আমরা নোটিস বা ক্ষতিপূরণ না পাচ্ছি ততক্ষণ বাঁধ নির্মাণের কাজ করতে দেব না।
এবিষয়ে মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, বৈঠক সদর্থক হয়েছে। বিডিও জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আশা করছি মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে। জমিদাতাদের সঙ্গে বৈঠক প্রশাসনের কর্তাদের। - নিজস্ব চিত্র।