• উচ্চশিক্ষা নিয়ে চিন্তিত পঞ্চম, সপ্তম এবং দশম স্থানাধিকারীরা
    বর্তমান | ০৬ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: মালদহের রতুয়া-১ব্লকের পিণ্ডলতলা গ্রামের অটো চালকের মেয়ে ভগবানপুর হাই মাদ্রাসার শবনম বানু (৭৭০) মাদ্রাসা ফাইনালে রাজ্যের মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থানে। সপ্তম স্থানে রতুয়া হাসপাতাল পাড়ার ফেরিওয়ালার মেয়ে বটতলা আদর্শ হাই মাদ্রাসার নুরজাহান খাতুন (৭৬৮)। দশম স্থানে ইংলিশবাজারের বুধিয়া হাই মাদ্রাসার রেজুয়ানা সুলতানা (৭৬৫)। এই তিন কন্যাশ্রী দরিদ্রতা ও প্রতিকূলতাকে জয় করে রাজ্যের মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। তিন অভাবী মেধাবীর লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা তাদের স্বপ্ন পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তাদের উচ্চ শিক্ষা নিয়ে পরিবারের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

    শবনম বানুর বাবা মহম্মদ সফিকুল ইসলাম অটো চালিয়ে মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। তার দুই সন্তান। তিনি দুই সন্তানকে কষ্ট করে পড়াচ্ছেন। আর্থিক সংকটের মধ্যে মেয়ের উচ্চ শিক্ষা কীভাবে হবে বুঝতে পারছেন না। শবনম বলে, আমার লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। বাবা অটো চালক। সেই আয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। 

    কৃতী নুরজাহান খাতুনের বাবা হায়াত আলি দার্জিলিংয়ে ফেরিওয়ালা হিসেবে কাজ করেন। তার তিন মেয়ের মধ্যে নুরজাহান বড়। সে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। কিন্তু তার বাবার সামান্য আয়ে সংসার চালানো দায়। নুরজাহানের কথায়, ভালো ফল করলেও বিজ্ঞান নিয়ে পড়ব কীভাবে বুঝতে পারছি না। বাবার আর্থিক সঙ্গতি নেই। 

    পুরাতন মালদহের কদমতুলি গ্রামের রেজুয়ানা সুলতানার  বাবা সফিউর রহমান  সামান্য মাইনেতে এক ব্যক্তির ফার্মে কাজ করেন। সেই সামান্য আয়ে তিনি সংসার চালান। বড় ছেলে নিটের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেজ রেজুয়ানা দাদার মতোই স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু বাবার আর্থিক অবস্থা তাদের স্বপ্ন পূরণে অন্তরায়। রেজুয়ানা বলেন, আমাদের দুই ভাইবোনের লক্ষ্য চিকিৎসক হওয়া। বাবার সামান্য আয়, তাতে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা সংশয়ে রয়েছি। 

    এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফজলুল হক বলেন, এই মেধাবীদের পাশে আমরা আছি। তাদের উচ্চ শিক্ষার জন্য সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)