পাঁচতারা হোটেল বুকিং করতে গিয়ে সাত লক্ষ টাকা প্রতারণা!
বর্তমান | ০৬ মে ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: মেয়ের বিয়ে। তাই নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেল বুকিং করেছিলেন এক ব্যক্তি। অগ্রিম বাবদ তিনি ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা দিয়েছিলেন দু’জনকে। কিন্তু, পরে হোটেল থেকে জানতে পারেন, তাঁর নামে কোনও বুকিং হয়নি! কনের বাবা তখন বুঝতে পারেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। যাঁদের টাকা পাঠিয়েছিলেন, তাঁদের নামে টেকনোসিটি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তদন্তে নেমে একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তার কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম সন্দীপন দাস। এফআইআরে নাম থাকা আরও একজনের খোঁজ চলছে। অনলাইনের মাধ্যমে হোটেল বুকিং করে প্রতারণা নতুন নয়। কিন্তু, এই ঘটনাটি ঘটেছে সম্পূর্ণ অভিনব পদ্ধতিতে। যে ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন, তাঁর বাড়ি কলকাতার হরিদেবপুরে। আগামী ২৪ মে তাঁর মেয়ের বিয়ে। সেই উপলক্ষ্যে তিনি নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেল বুকিং করার জন্য গত ১২ ডিসেম্বর সশরীরে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে হোটেলেই একজনের পরিচয় হয়। অভিযোগ, ওই যুবক তাঁকে হোটেলের কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিল। পরে ২৩ ডিসেম্বর তিনি ফের হোটেলে গেলে ওই যুবক তাঁকে সন্দীপন দাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। ওই দু’জনের সঙ্গে চূড়ান্ত কথা হয়। একটি ব্যাঙ্কোয়েট এবং ২০টি রুম বুকিং করার জন্য ৯ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার কথা হয়েছিল।
সন্দীপনদের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরে কনের বাবা প্রথমে ২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা পেমেন্ট করেন। পরে আরও দু’বার চার লক্ষ টাকার উপর পেমেন্ট করেন তিনি। দু’বার পেমেন্টের রিসিট কপি পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। হোটেলের প্যাডেই নাকি মানি রিসিট পাঠিয়েছিল সন্দীপনরা। কিন্তু, তৃতীয় পেমেন্টের রিসিট পেতে দেরি দেওয়ায় হরিদেবপুরের ভদ্রলোক ১৯ এপ্রিল নিউটাউনের পাঁচতারা হোটেলে ফোন করেন। তারপর জানতে পারেন, তাঁর নামে কোনও বুকিং হয়নি! তখন তাঁর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড়! অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিস তদন্তে নামে। তারপরই সন্দীপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, অনেকে এজেন্সির মাধ্যমে হোটেল বুকিং করেন। ওই ভদ্রলোকও এজেন্সির মাধ্যমে বুকিং করেছিলেন। বলা হয়েছিল, সন্দীপনরা এজেন্সির লোক। কিন্তু, তারা টাকা নিয়েও বুকিং করেনি। বুকিংয়ের টাকা আত্মসাৎ করেছিল তারা।