• রুফটপ রেস্তরাঁর ভবিষ্যৎ কী? কোর্টের দিকেই তাকিয়ে মেয়র
    বর্তমান | ০৬ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে শহরে আর রুফটপ রেস্তরাঁ চলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেই মতো সমস্ত রুফটপ রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তখনই জানিয়েছিলেন পুরসভার পদস্থ আধিকারিকরা। এই অবস্থায় রুফটপ রেস্তরাঁগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে আদালত কী বলে, সেদিকেই তাকিয়ে মেয়র তথা কলকাতা পুরসভা। সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘শহরের সমস্ত রুফটপ রেস্তরাঁকেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেককে বলা হচ্ছে, তাদের অবৈধ নির্মাণ নিজেরা না ভাঙলে পুরসভা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এই প্রক্রিয়া চলবে। তবে আদালত যদি ভাঙতে বারণ করে, তাহলে তো আর কিছু করার নেই। আমরা আদালতের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য।’

    গত শনিবার পার্ক স্ট্রিটের একটি  বহুতলের ছাদে থাকা রেস্তরাঁর অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেয় পুরসভা। তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। সেই রেস্তোরাঁ ভাঙার ক্ষেত্রে মৌখিকভাবে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। মামলাকারীর দাবি ছিল, অনুমতি থাকা সত্ত্বেও রুফটপ রেস্তরাঁ ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। আদালতে এদিন শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, ‘কোথাও আগুন লেগেছে বলে রাতারাতি অন্য একটি রেস্টুরেন্ট ভেঙে দেওয়া যায়? নীতিগত সিদ্ধান্ত সরকার নিতেই পারে। আমরা আইনের মাধ্যমে লড়াই চালাতে পারি।’ তিনি আরও দাবি করেন, ৪০১ ধারায় নোটিস দিয়ে অবৈধ নির্মাণ ভাঙা যায় না। এক্ষেত্রে পুরসভাকে ৪০৮ ধারায় নোটিস দিতে হবে। পুরসভার তরফে কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হয়। এরপরই বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত নির্দেশে জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই রেস্তরাঁ ভাঙা যাবে না। ওই দিন মামলার পরবর্তী শুনানি। আইনের যে ধারায় পুরসভা নোটিস পাঠিয়েছে, তাতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতিও। 

    মেয়র এদিন বলেন, ‘কোথায় আদালত স্টে অর্ডার দিয়েছে? প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেশ করতে বলেছে আদালত। আমি নিজেই পার্ক স্ট্রিটের ওই রেস্তরাঁয় গিয়েছিলাম। ওদের বলা হয়েছিল, আগুন লাগলে হাইড্রলিক ল্যাডারের কাজ করতে যেন কোনও সমস্যা না হয়, সেই জায়গাটুকু ফাঁকা রাখতে হবে। তা করেনি বলেই পুরসভা বাধ্য হয়ে সেই জায়গা ফাঁকা করেছে।’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, ‘আমরা কাউকে ব্যবসা করতে বারণ করছি না। কিন্তু নিয়ম মেনে করতে হবে। মানুষের নিরাপত্তা সবার আগে।’ সাদার্ন অ্যভিনিউয়ের এমনই একটি রেস্তরাঁকে ডিসেম্বরে নোটিস ধরানো হয়েছিল। সেটিও খুব বিপজ্জনকভাবে চলছে বলে জানান মেয়র। সেই রেস্তরাঁ ভাঙার ক্ষেত্রেও আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, পুলিসের তরফে শহরের যে ৮৩টি রুফটপ রেস্তরাঁর তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেগুলিতে অভিযান জারি আছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখছে পুরসভা। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)