• উল্টোডাঙা ফ্লাইওভারের গার্ডওয়ালে বাইক নিয়ে ধাক্কা, জয় রাইডের বলি ২
    বর্তমান | ০৬ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: রাতে পার্টি। ভোরে জয় রাইড। একটি বাইকে সওয়ার চারজন। কারও মাথায় হেলমেট নেই। ভোরের রাস্তায় সেই বাইকের বেপরোয়া গতি ডেকে আনল মর্মান্তিক পরিণতি। মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই তরুণ। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন আরও দু’জন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উল্টোডাঙা ফ্লাইওভারে। তীব্র গতিতে বাইকটি গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারলে চারজনই ছিটকে পড়েন রাস্তায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদের নাম সোয়েব (২০) এবং রহমান (১৯)। শাহরুখ ও সোহেল নামে দু’জন জখম হয়েছেন। সোহেল সোয়েবের ভাই। তপসিয়া থানা এলাকায় তাঁদের বাড়ি।

    প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জেনেছে, রবিবার রাতে চারজন একটি বাইকে চেপে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে তাঁরা বাড়ি ফেরেননি। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ই এম বাইপাস থেকে ভিআইপি রোডে যাওয়ার সময় উল্টোডাঙা ফ্লাইওভারের উপর দুর্ঘটনাটি ঘটে। তদন্তকারীদের অনুমান, রাতে তাঁরা কোথাও পার্টিতে মেতেছিলেন। ভোর হতেই বেরিয়েছিলেন জয় রাইডে। এই ফ্লাইওভারে ওঠার সময় ঘণ্টায় ২৫ কিমি এবং নামার সময় ঘণ্টায় ২০ কিমি গতিবেগ নির্ধারিত করা আছে। কিন্তু, তাঁরা ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিমি গতিতে বাইক ছোটাচ্ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ফ্লাইওভারে থেকে নামার আগে ডানদিকে যে টার্ন আছে, সেখানেই বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা গার্ডওয়ালে ধাক্কা দেয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই দৃশ্য দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। চারজনকে উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা সোয়েব ও রহমানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    সকালেই তাঁদের পরিবারের লোকজন আর জি কর হাসপাতালের মর্গে পৌঁছন। পুলিস জানিয়েছে, যে বাইকে তাঁরা বেরিয়েছিলেন, সেটি এই চারজনের কারও নয়। অন্য কারও বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। তবে বাইকটি মোটের উপর অক্ষত রয়েছে। পুলিসের দাবি, মাথায় হেলমেট থাকলে হয়তো এই মৃত্যু এড়ানো যেত। কারণ, এক্ষেত্রে কোনও গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়নি। বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে প্রত্যেকের মাথায় চোট লেগেছে। বিধাননগরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ট্রাফিক) নিমা নরবু ভুটিয়া বলেন, ‘এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যই আমরা সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে লাগাতার প্রচার করে আসছি। একটি বাইকে দু’জনের বেশি চাপাটাই বেআইনি। এখানে তো চারজন ছিলেন। তাছাড়া বাইকে হেলমেটও বাধ্যতামূলক। কারও মাথায় তা ছিল না। বাইকের ওভারস্পিডও ছিল। তাই আমরা সবাইকে সচেতন করছি,  যাতে কেউ ট্রিপল রাইড বা তার বেশি কাউকে বাইকে না চাপান। হেলমেট পরে গতির সীমাবদ্ধতা মেনে বাইক চালাতে হবে।’
  • Link to this news (বর্তমান)