বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও এক জন। সোমবার দুপুরে কোলাঘাট থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋতুরাজ হোটেলের ভিতরে যে কাজ চলছিল তার তত্ত্বাবধানে ছিলেন ধৃত ব্যক্তি। পুলিশ ও দমকলের প্রাথমিক অনুমান, যেখানে কাজ চলছিল সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার।
ধৃত ব্যক্তির নাম সাগির আলি (৫৩)। এর আগে হোটেলের মালিক আকাশ চাওলা, ম্যানেজার গৌরব কপূর ও হোটেলে কাজের বরাত নেওয়া ঠিকাদার খুরশিদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। হোটেলের দোতলায় প্লাইউডের কাজ চলছিল। সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই কাজের দায়িত্বেই ছিলেন সাগির। গত মঙ্গলবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়। তাঁরা প্রত্যেকেই ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। দমকলের ১০ টি ইঞ্জিনের দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কলকাতা পুলিশের ১১ জনের তদন্তকারী দল ঘটনার তদন্ত করছে।
তদন্তে হোটেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা গিয়েছে, হোটেলের ফায়ার লাইসেন্সের মেয়াদ তিন বছর আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা রিনিউ করার আবেদন জানানো হয়নি। আগুন লাগার পর হোটেলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ করেনি। সেই কারণে আগুন এভাবে ছড়িয়ে পড়ে।পুলিশ জানিয়েছে, হোটের ছাদ ও ছাদের কাছে দুইটি দেহ পড়েছিল। দোতলা ও তিনতলার মধ্যেকার সিঁড়িতে ছিল একজনের দেহ। বাকি দেহগুলি হোটেলের বিভিন্ন ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় পুলিশ সুয়ো মোটো অভিযোগ দায়ের করে। পাশাপাশি দমকলের তরফেও অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই সকল অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।