• মুর্শিদাবাদের জোড়া খুনে সিবিআই তদন্তের আবেদন শুনল না সিঙ্গল বেঞ্চ! পাঠানো হল প্রধান বিচারপতির কাছে
    আনন্দবাজার | ০৬ মে ২০২৫
  • মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের জাফরাবাদে জোড়া খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া মামলা শুনলেন না বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তিনি জানান, মুর্শিদাবাদের অশান্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানি ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে চলছে। তাই তিনি আর নতুন করে এই মামলা শুনবেন না। নিহতদের পরিবারের আবেদন সংক্রান্ত মামলা তিনি হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠিয়ে দেন।

    মঙ্গলবারের শুনানিতে আইনজীবীদের সওয়াল-পাল্টা সওয়ালকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ছড়ায় বিচারপতি ঘোষের এজলাসে। এই নিয়ে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আইনজীবীদের সতর্ক করে এই ধরনের আচরণ থেকে বিরত থাকতে বলেন। বিরক্ত প্রকাশ করে বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, ‘‘আপনারা যে রাজনৈতিক দলের হয়ে মামলা করছেন, তেমনই রাজনৈতিক নেতাদের মতো আচরণ করছেন।’’ তার পরেই বিচারপতি ঘোষ সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা ছাড়ার কথা জানান। প্রধান বিচারপতির ঠিক করে দেওয়া বেঞ্চই এই মামলা শুনবে।

    মুর্শিদাবাদের জোড়া খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলা করে নিহত হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের পরিবার। তারা আদালতের কাছে আবেদন করে, জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশের উপর কোনও আস্থা নেই। সেই জোড়া খুনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-কে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানায় নিহতদের পরিবার। একই সঙ্গে তাদের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়।

    সংশোধিত ওয়াকফ আইন ঘিরে গত মাসে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু অঞ্চলে। বিএসএফের সাহায্য নিয়ে রাজ্য পুলিশ শুরুর দিকে সেখানে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছিল। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয়। সোমবার দু’দিনের মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অশান্তির পরে প্রথম বার। মঙ্গলবার ধুলিয়ান, শমসেরগঞ্জ, সুতির মতো উপদ্রুত এলাকায় তাঁর যাওয়ার কথা। যদিও নিহতদের পরিবার এখন মুর্শিদাবাদে নেই। সোমবারই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। তবে মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হল না সিঙ্গল বেঞ্চে। উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের অশান্তি সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী ১৫ মে শুনানি রয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের মতে, ওই দিনই নিহতদের পরিবারের আবেদন শুনতে পারে ওই ডিভিশন বেঞ্চ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)