সার্ভার বসে গিয়ে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ পেট্রাপোলে! কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি, চিঠি নির্মলাকে
আনন্দবাজার | ০৬ মে ২০২৫
বসে গিয়েছে শুল্ক দফতরের ‘সার্ভার’। ফলে প্রায় সাত দিন ধরে ইন্টারনেট পরিষেবা অমিল দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর, উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোলে। বাংলাদেশে পণ্য রফতানি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ধাক্কা লেগেছে পণ্য আমদানিতেও।
সমস্যা সমাধানে দ্রুত হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে মেল করেছে শুল্ক দফতর অনুমোদিত আমদানি-রফতানিকারীদের প্রতিনিধিদের সংগঠন ‘পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। ওই অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, ওই সীমান্তে বাণিজ্যের কাজ প্রায় পুরোটাই নেট নির্ভর। শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, ২৮ এপ্রিল দফতরের নির্দিষ্ট ‘সার্ভার’ বসে যাওয়ায় সংযোগ চলে যায়। চেষ্টা করেও তা আর ফেরানো যায়নি। কী কারণে সংযোগ গিয়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। শনিবার থেকে শুধু পচনশীল পণ্য ছাড়া আর কিছু রফতানি হচ্ছে না। ট্যাবের মাধ্যমে কোনও রকমে তা করা হচ্ছে।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে যেখানে প্রতি দিন ৩৫০-৪০০টি গাড়িতে পণ্য রফতানি ও আমদানি হত পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে, এখন সেই সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০-১৫০। অন্য পোর্ট থেকে লিঙ্ক সংক্রান্ত কাজ হওয়ায় আমদানি কিছুটা হলেও হচ্ছে। কিন্তু রফতানি প্রায় পুরোপুরিই বন্ধ। কয়েক দিন ভর্তি ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকলে পণ্যের ক্ষতি হয়। লোকসান হয় ব্যবসায়ীদের। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও দাঁড়িয়ে থাকার জন্য অতিরিক্ত টাকা (ডিটেনশন চার্জ) দিতে হয়। ঠিক সময়ে পণ্য বাংলাদেশে পাঠাতে না পারলে, সেখান থেকে টাকা পেতেও সমস্যা হয়। এক দিন বাণিজ্যে ধাক্কা মানে কয়েক কোটির ক্ষতি।
‘পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘শুল্ক দফতরের সার্ভারে সমস্যার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দফতরে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি । ফলে ২৮ এপ্রিল থেকে পেট্রাপোলের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কমে গিয়েছে। প্রতি দিন কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। ফলে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে মেল করে সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করা হয়েছে।’’