কলকাতার পার্ক স্ট্রিট চত্বরে একটি ‘রুফটপ’ রেস্তরাঁ ভাঙার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। ওই মামলায় ‘রুফটপ’ রেস্তরাঁটি ভাঙার কাজে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। সেখানে নতুন করে আর ভাঙার কাজ করা যাবে না। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্টের বিচারপতি গৌরাঙ কান্তের একক বেঞ্চ। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর কলকাতার বিভিন্ন ভবনে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য কী ব্যবস্থা রয়েছে, সে দিকে আরও বেশি নজর দিতে শুরু করেছে পুর প্রশাসন। এই অবস্থায় শহরের সব ‘রুফটপ’ রেস্তরাঁ আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতা পুরসভা। গত শুক্রবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরে পুরসভা একটি নির্দেশিকাও জারি করে। ‘রুফটপ’ রেস্তরাঁগুলিকে অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে পার্ক স্ট্রিট চত্বরের একটি ‘রুফটপ’ রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ তোলেন, তাঁদের রেস্তরাঁটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। তা নিয়ে হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী। সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে ভাঙাভাঙির কাজে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত।
বস্তুত, বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডের পর এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে ফেরার সময়েই পার্ক স্ট্রিট চত্বরে ‘সারপ্রাইজ় ভিজ়িটে’ যান তিনি। ওই সময়েই আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ছাদ বন্ধ করা যাবে না। মেয়র ফিরহাদ এবং দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে এই নিয়ে আলোচনার জন্য বলেছিলেন তিনি। পরে ফিরহাদ জানিয়েছিলেন, যে সব রেস্তরাঁ ছাদে চালু রয়েছে, সেগুলি বন্ধ করতে হবে। নীচে আগুন লাগলে মানুষ যাতে ছাদে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারেন, সেই পথ খোলা রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।