• কার দখলে এলাকা? তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে হাড়োয়ায় পঞ্চায়েত সদস্য-সহ জখম চার, উত্তেজনা
    আনন্দবাজার | ০৬ মে ২০২৫
  • তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে উত্তপ্ত ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানার ঝাড়াতলা। সংঘর্ষে জখম পঞ্চায়েত সদস্য-সহ মোট চার জন। তাঁদের ভর্তি করানো হয়েছে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আহত পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব মণ্ডলের দাবি, সোমবার সন্ধ্যায় তাঁরা দুই ভাই ঝাড়াতলা এলাকায় ছিলেন। সেই সময় কয়েক জন দুষ্কৃতী বিনা প্ররোচনায় তাঁদের উপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, ‘‘লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে আমাদের। যে দুষ্কৃতীরা আমাদের আঘাত করেছে, তারা সকলে মিনাখাঁ বিধানসভার বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের স্বামী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডলের অনুগামী।’’ ওই পঞ্চায়েত সদস্য এ-ও জানিয়েছেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁরা দুই ভাই গুরুতর জখম হয়েছেন। তবে তৃণমূলের একটি সূত্রে খবর, এলাকার দখল নিয়েই এই মারামারি এবং অশান্তি।

    তৃণমূল বিধায়কের স্বামী মৃত্যুঞ্জয় ঘটনার দায় এড়িয়েছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে নয়, পারিবারিক গন্ডগোলে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনায় যারা আক্রান্ত বলে দাবি করেছেন, তাঁরা বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেখান থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়।’’

    যদিও মিনাখাঁয় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল নতুন নয়। তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি এবং হাড়োয়ার তৃণমূল যুব সভাপতি খালেক মোল্লার গোষ্ঠীর মধ্যে বার বার গন্ডগোল হয়েছে। ‌স্থানীয় সূত্রে খবর, আহত পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব খালেকের ঘনিষ্ঠ। তবে খালেকের বক্তব্য, ‘‘আমরা সকলে তৃণমূল করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। এখানে কারও অনুগামী বা কারও ঘনিষ্ঠ বলে কিছু নেই। কোনও কর্মী বা কোনও সমর্থক আমাকে ভালবাসতে পারে। তাই বলে তাকে মারতে হবে? আমার দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে যে বা যারা মেরেছে, তারা ঠিক কাজ করেনি। প্রশাসনের উচিত, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’’ তিনি জানান, এই বিষয়টি তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে আনবেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)