এনআরআই কোটায় মন্ত্রী, পুলিশ ঘনিষ্ঠদের ডাক্তারি শিক্ষা
আনন্দবাজার | ০৬ মে ২০২৫
রাজ্যে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে অনাবাসী ভারতীয় বা এনআরআই কোটায় ভর্তির কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুলিশের এক কর্তা, রাজ্যের একাধিক নেতা, মন্ত্রীর আত্মীয়-পরিজনের নাম থাকতে পারে বলে ইডির তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি উঠে আসছে। এ রাজ্যের প্রভাবশালীদের এমন ঘনিষ্ঠ কয়েক জন বা তাঁদের পরিজনের নথিপত্র চেয়ে নোটিস জারি করেছে ইডি। সম্প্রতি অন্তত ৫০ জনকে নোটিস দেওয়া হয়েছে বলেও তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি।
মাস আটেক আগে ওই মামলায় কলকাতার যাদবপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ-সহ রাজ্যের প্রায় ১৮টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেখান থেকে ২০১৬ সালের পরের ভর্তি সংক্রান্ত নানা নথি ও কম্পিউটারের তথ্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বলে দাবি। তদন্তকারীদের দাবি, ওই সব নথি যাচাইয়েই ভর্তি সংক্রান্ত নানা বেআইনি সূত্র উঠে এসেছে।
তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি, পরিচিত কয়েক জন অনাবাসী ভারতীয়ের সঙ্গে যোগসূত্র বোঝাতে নথিতে কারচুপি করে কয়েকশো পড়ুয়া বাঁকা পথে ডাক্তারিতে ভর্তি হন। এর মধ্যে রাজ্যের প্রভাবশালী পুলিশকর্তা, নেতা-মন্ত্রীর আত্মীয়, পরিজনও আছেন বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে দাবি করছে ইডি।
ইডি সূত্রের দাবি, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ডাক্তারি কলেজ কর্তৃপক্ষগুলিও এই দুর্নীতির শরিক। এনআরআই কোটায় বেআইনি ভর্তির চক্রে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও ইডির তদন্তকারীদের সূত্রে দাবি।
গত কয়েক মাসে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির কর্তা, আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সন্দেহভাজন প্রভাবশালী ও তাঁদের আত্মীয়দের নামে নোটিস জারির পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
তদন্তকারীদের দাবি, ২০১৬ সাল থেকেই এই ভর্তি কেলেঙ্কারির শুরু। ২০১৮-১৯ সালে ৬০০-৬৫০ জন পড়ুয়া বাঁকা পথে অনাবাসী কোটায় ডাক্তারি পড়তে ঢুকেছে বলে প্রাথমিক সূত্র মিলেছে।
ইডির দাবি, সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ওই সন্দেহভাজন পড়ুয়াদের নথি জমা দেওয়ার জন্য নোটিস জারি করা হয়েছে। দিল্লি এবং কলকাতার যৌথ তদন্তকারী দল ওই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। ভিন রাজ্যেও এই দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।