বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে গ্রেফতার চতুর্থ অভিযুক্ত, হোটেলে কাজের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন সাগির
আনন্দবাজার | ০৬ মে ২০২৫
কলকাতার বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই হোটেলে চলা কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা সাগির আলিকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এবং দমকলের অনুমান, হোটেলের ভিতরে যেখানে কাজ চলছিল, সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়েছিল। গোটা বিষয়টি এখনও খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশের ১১ জনের তদন্তকারী দল। তারাই কোলাঘাট থেকে সাগিরকে গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল চার।
এর আগে বড়বাজারের ঋতুরাজ হোটেলের মালিক আকাশ চাওলা, ম্যানেজার গৌরব কপূর এবং হোটেলে কাজের বরাত নেওয়া ঠিকাদার খুরশিদ আলমকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযোগ, হোটেলের দোতলায় যেখানে প্লাইউডের কাজ চলছিল, সেখান থেকেই আগুন ছড়ায়। তা ছাড়া, হোটেল কর্তৃপক্ষেরও অনেক গাফিলতি ছিল। অভিযোগ, ওই হোটেলের ‘ফায়ার লাইসেন্স’-এর মেয়াদ শেষ হয়েছিল তিন বছর আগেই। তার পর তা আর নবীকরণ করাননি কর্তৃপক্ষ। হোটেলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলেও অগ্নিকাণ্ডের সময় তা কাজ করেনি। যে কারণে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন দীর্ঘ ক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তত ক্ষণে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে বড়বাজারের ঋতুরাজ হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মোট ১৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের প্রত্যেকেই ভিন্রাজ্যের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, ছ’তলা ওই হোটেলের ছাদে এবং ছাদের কাছে পড়ে ছিল দু’টি দেহ। এ ছাড়া, দোতলা থেকে তিন তলায় ওঠার সিঁড়িতে ছিল এক জনের দেহ। বাকি ১০টি দেহ পাওয়া গিয়েছিল হোটেলের বিভিন্ন ঘর থেকে। বুধবার রাতে ওই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করে দমকল। পাশাপাশি, পুলিশও স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে একে একে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।