• সস্তার হেলমেটে বাঁচে না মাথা, কে বোঝাবে ‘সচেতন’ জনতাকে
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৫
  • এই সময়: ‘লক্ষ্যে পৌঁছে তবেই হেলমেট খুলুন’––রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটসম্যান ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশীর ছবি কলকাতা পুলিশ ফেসবুকে পোস্ট করতে না করতেই তা ভাইরাল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে হেলমেট পরা নিয়ে পুলিশের এমন সচেতনতা প্রচার প্রশংসা কুড়োলেও বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই!

    গন্তব্যে বা লক্ষ্যে পৌঁছনো তো দূরের কথা, পুলিশের জালে ধরা পড়লে নানা অদ্ভুত সব যুক্তি দেন বাইক চালকরা। তাঁদের মধ্যে কেউ বলেন, ‘অনেকক্ষণ হেলমেট পরে থাকলে মাথা যন্ত্রণা করে।’ কেউ আবার সার্জেন্টকে দেখে মুখ কাঁচুমাচু করে যুক্তি দেন, ‘হেলমেট পরলে চুল উঠে যাচ্ছে।’

    পুলিশকর্মীদের অভিজ্ঞতা, কলকাতার কিছু কিছু এলাকার বাইক চালকরা যেন পণ করেছেন, ‘কেস খেলে খাব, হেলমেট পরব না।’ বর্তমানে জরিমানার অঙ্ক অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। পাঁচশো টাকা গুনতেও হচ্ছে। তার পরেও জীবন বাজি রেখে বাইক চালাচ্ছেন অনেকে। পুলিশ কর্তারা জানাচ্ছেন, হেলমেট কেনার ক্ষেত্রে এখনও সচেতনতার অভাব রয়েছে। সোমবার ওয়েলিংটন মোড়ে হেলমেটের দোকানে গেলে সেই উদাসীনতার ছবি উঠে এসেছে।

    বছর তিরিশের এক যুবক লেনিন সরণির একটি দোকানে ঢুকে হেলমেট চাইতেই সেখানকার কর্মী জানতে চাইলেন, ‘কোন কোম্পানি, হাফ না ফুল। কী দেব।’ যুবকের উত্তর, ‘আমি দুটো নেব, হাজারের মধ্যে করে দিন।’ ওই টাকায় যে আইএসআই চিহ্ন দেওয়া হেলমেট হয় না, তা ক্রেতাকে জানিয়ে দেন বিক্রেতা।

    কিন্তু, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে, কম দামের হেলমেটও রাখতে হচ্ছে দোকানদারদের একাংশকে। তাই দুটি হেলমেট দর কষাকষিতে দাঁড়ায় ১৩০০ টাকা। রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের এক দোকানদার বলেন, ‘সকলে দামি হেলমেট কিনতে পারেন না। তাই কোয়ালিটির সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়। ফলে হালকা হেলমেট কিনে নিয়ে চলে যান অনেকে। দুর্ঘটনা ঘটলে ওই হেলমেটে কিছুই হয় না।’

  • Link to this news (এই সময়)