• হাতির হানায় আলু চাষে ক্ষতি, শস্যবিমায় ক্ষতিপূরণ ৪ কোটির
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৫
  • পিনাকী চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার

    প্রতি বছর আলু চাষ করতে গিয়ে হাতির হানায় জেরবার হতে হচ্ছিল আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের চাষিদের। বিষয়টি নজরে আসতেই আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ব্লকের ১১৩০ জন আলু চাষিকে ২০২৪–২৫ আর্থিক বছরে বাংলা শস্য বিমার আওতায় আনে।

    রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই বিমার প্রিমিয়ামও দিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার ওই ফসল বিমার আওতায় থাকা ১১৩০ জন ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষির হাতে ৪ কোটি ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৩০৮ টাকা তুলে দেওয়া হয়।

    জেলার ছ’টি ব্লকের মধ্য ফালাকাটা ব্লকের ৮৩০০ হেক্টর জমিতে সব থেকে বেশি আলু উৎপাদন হয়। আর কালচিনি ব্লকটি চা বাগান ও বনভূমিতে ঘেরা বলে, সংশ্লিষ্ট ব্লকের মাত্র ১০০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়। প্রতি বছর চাষের মরশুমে হাতির আক্রমণে জেরবার হতে হয় কালচিনি ব্লকের আলু চাষিদের।

    ফলে ক্ষতির ভয়ে আলু চাষে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন তাঁরা। বিষয়টি জানতে পেরে চাষিদের পাশে দাঁড়াতে তৎপর হয়ে ওঠে জেলা প্রশাসন। ২০২৪–২৫ অর্থবর্ষে কালচিনি ব্লকের ১১৩০ জন আলু চাষিকে রাজ্য সরকারের শস্য বিমার আওতায় আনা হয়।

    জেলার অন্য ব্লকের আলু চাষিরা যেখানে হেক্টর প্রতি জমিতে গড়ে ৩৪ হাজার কিলোগ্রাম আলু উৎপাদন করে রেকর্ড গড়েছেন, সেখানে কালচিনির আলু চাষিরা হাতির উপদ্রবে হেক্টর প্রতি জমিতে মাত্র ১০ হাজার কেজি আলু ঘরে তুলতে পেরেছেন।

    পাশাপাশি হাতির হানা থেকে বাঁচতে সিংহভাগ আলু চাষিরা অপুষ্ট আলু ঘরে তুলে ব্যপক লোকসানের মুখে পড়েছেন। আগামী আলুর মরশুমের জন্য বীজ সংরক্ষণ করা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন কালচিনির কৃষকরা।

    এ প্রসঙ্গে জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, ‘শস্য বিমার শর্তে যদি কোনও এলাকার কৃষক ফসল ঘরে তুলতে না পারেন, তবে তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমরা কালচিনি ব্লকের আলু চাষিদের অবস্থা দেখে তাঁদের ওই ফসল বিমার আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিই। এবার সংশ্লিষ্ট ব্লকের কৃষকরা বিমার টাকা পেয়ে যাওয়ায় আলু চাষে আর আগ্রহ হারাবেন না।’

  • Link to this news (এই সময়)