ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্রে চাল মাপতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলো ১৪ বছরের এক স্কুল ছাত্রের। মৃতের নাম দেবজ্যোতি ধর ওরফে সন্তু। সে কোদালিয়া প্রসঙ্গবঙ্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। দুর্ঘটনা সোনারপুর থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লিতে। মঙ্গলবার দুপুরের এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে কিশোরের পরিবার ও এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
কী করে দুর্ঘটনা?
পরিবার সূত্রের খবর, দেবজ্যোতির বাবা কালাচাঁদ ধরের একটি ভুষির দোকান রয়েছে। ব্যবসার কাজে মাঝেমধ্যে বাবাকে সাহায্য করত দেবজ্যোতি ও তার ভাই। মঙ্গলবার সেই কাজের জন্যই বাড়িতে থাকা ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্রে চাল মাপতে গিয়েছিল দেবজ্যোতি। অভিযোগ, চাল মাপার সময়েই সে ইলেকট্রিক ওজন যন্ত্রে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়। দুর্ঘটনার সময় পাশের ঘরে পুজো করছিলেন দেবজ্যোতির মা মুনমুন ধর। পুজো শেষ করে ওই ঘরে ঢুকে ছেলেকে মেঝেয় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। ছেলেকে ওই ভাবে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে ওঠেন মুনমুন। তাঁর চিৎকার শুনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছুটে আসেন। এর পর তাঁরা দেবজ্যোতিকে সুভাসগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান।
জানা গিয়েছে, সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যেই সোনারপুর থানার পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজন যন্ত্রটিও পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, যন্ত্রটিতে শর্ট সার্কিট হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট আসার পরই সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে সোনারপুর থানার পুলিশ।
দেবজ্যোতির আকস্মিক প্রয়াণে এলাকায় এখন শোকের ছায়া। শোকস্তব্ধ তার পরিবারের সদস্যরাও। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দেবজ্যোতি খুব শান্ত এবং মেধাবী ছাত্র ছিল। তার এ ভাবে চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা।