হোটেল-স্কুলে ফায়ার সেফটি অডিটের সিদ্ধান্ত রাজ্যের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৬ মে ২০২৫
সম্প্রতি বড়বাজারের ঋতুরাজ হোটেলে প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বড়বাজারের ঘটনার পরই নিউটাউন, বেহালা-সহ শহর কলকাতার একাধিক জায়গায় পর পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটছে। এর প্রেক্ষিতে বারংবার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই ঘটনাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার রাজ্যের প্রতিটি হোটেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।
এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়ে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, মানুষের জীবন সুরক্ষাই হল সরকারের প্রধান লক্ষ্য। তাই এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত হোটেল ও স্কুলে ‘ফায়ার সেফটি অডিট’ করা হবে। ফায়ার লাইসেন্স, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, জরুরি নির্গমন পথ সহ অন্যান্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ঠিকঠাক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে হাসপাতাল, শপিং মল এবং বাজারের মতো জনবহুল স্থানে অডিট করে বেশ কিছু গাফিলতির চিত্র সামনে এসেছিল। এবার সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই হোটেল ও স্কুলে নতুন করে নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, শহর ও শহরতলির হোটেলগুলিও এই পরিদর্শনের আওতায় আসবে।
প্রসঙ্গত, ঋতুরাজ হোটেলের অগ্নিকান্ডের ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। সংশ্লিষ্ট হোটেলে ছিল না ব্যতিক্রমী বাহির পথ, তাছাড়াও বন্ধ ছিল বেশিরভাগ জানালা-দরজা। এমনকি অভিযোগ, দুর্ঘটনার সময় কাজ করেনি ফায়ার অ্যালার্মও। ফায়ার লাইসেন্সও নবীকরণ করানো ছিল না বলে অভিযোগ।
সুতরাং, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পশ্চাতে সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষের অসংখ্য গাফিলতি উঠে এসেছে। এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এবার কড়াকড়ি রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৎপর হয়েছে দমকল দপ্তর। যার ফলস্বরূপ এবার শহর ও শহরতলির হোটেল, স্কুলে শুরু হবে ফায়ার সেফটি অডিট, এমনটাই জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী। সম্প্রতি, সুজিত বোস জানিয়েছিলেন, ফায়ার লাইসেন্স নবীকরণের ক্ষেত্রে আর দৌড়াদৌড়ির প্রয়োজন নেই। অনলাইনেই মিটে যাবে এই কাজ। তাসত্ত্বেও কেন এই কাজে গাফিলতি, তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর।