প্রসেনজিৎ মালাকার: নতুন যুগের পথে পা রাখল বিশ্বভারতী। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম সতর্কবার্তা এবার পাওয়া যাবে সংখ্যাতত্ত্বের মাধ্যমে-- এমনই যুগান্তকারী এক আবিষ্কার করেছেন বিশ্বভারতীর স্ট্যাটিসটিক্স বিভাগের অধ্যাপক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে সহযোগিতা করেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যাটিসটিক্স এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একাধিক গবেষক। গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক জার্নাল PLOS ONE-এ।
সংশ্লিষ্ট গবেষক দলটি বিশ্লেষণ করেছেন ৩৭,৩৩১টি ভূমিকম্প ও ১,১৯৩টি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের তথ্য। এর মাধ্যমে তাঁরা আবিষ্কার করেছেন-- ভূমিকম্পের তীব্রতা ও উৎসস্থলের নিরিখে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় ও তীব্রতা অনেকটাই অনুমান করা সম্ভব হবে। সাধারণত ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র ভূমিকম্পের পরে তথ্য দেয়, কিন্তু এই নতুন মডেল বিপদের আগেই সতর্কবার্তা দিতে সক্ষম।
দুইটি গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে এই পূর্বাভাস পদ্ধতি তৈরি হয়েছে। প্রথম মডেল ভূমিকম্পের গড় তীব্রতা ও অগ্ন্যুৎপাতের সময়ের মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণ করে। দ্বিতীয় মডেলটি আরও ভিন্ন পদ্ধতিতে কার্যকর পূর্বাভাস দেয়। পরীক্ষায় দুটো মডেলই সফল হয়েছে। এই গবেষণায় অধ্যাপক অম্লান বন্দ্যোপাধ্যায়, শিলাদ্রিশেখর দাস এবং আমেরিকার গবেষক পৃথ্বীশ ঘোষও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
দেবাশিসবাবুর মতে, এই প্রযুক্তি ভারতের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারবে। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, ভূবিজ্ঞান ও পরিসংখ্যানের মেলবন্ধন ভবিষ্যতের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিল।