দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে উদ্বোধন হয়েছে অক্ষয় তৃতীয়ায়। তারপর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ উঠছিল, ২০১৫ সালের পুরীর জগন্নাথ মন্দির বিগ্রহের নব কলেবর করার পর যে উদবৃত্ত নিমকাঠ ছিল তা দিয়ে দিঘার মূর্তি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। তদন্তের নির্দেশ দেয় ওড়িশা সরকার। তারপর অভিযোগ ওড়ান সে রাজ্যের আইনমন্ত্রী। পৃথ্বীরাজ হরিচন্দনের কথায়, “পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের বাড়তি কাঠ থেকে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তি বানানো-এই ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হয়। মহারানা সেবক যে সমাজ আছে, তাদের সঙ্গে কথা বলার পর, এটা সামনে এসেছে, কাঠের যতটা অংশ বাকি রয়েছে, তা নিয়ে নতুন করে কোনও মূর্তি বানানো অসম্ভব। ওখানকার দ্বৈতাপতি সমাজের সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই দ্বৈতাপতি সমাজের সেক্রেটারি যে তদন্ত করেছেন, তাঁরাও স্বীকার করে নিয়েছেন যে, যেটা বলা হয়েছিল, সেটা ভুলবশত হয়েছে।”
বিষয়টি স্পষ্ট হতেই পালটা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমাকে বলেছিল… আমি জগন্নাথ মন্দিরের কাঠ চুরি করেছি! কী মুখে ঝামা ঘষা হল তো! যারা বলেছিলেন চুরি করেছি তারাই বলছেন, না এখান থেকে নেয়নি!” তাঁর সংযোজন, “এত ভালো মন্দির করলাম তারপরেও কুৎসা। বলল চুরি করেছি। ভবিষ্যতে মানুষ কড়ায় গণ্ডায় এর জবাব দেবে।”