• উত্তরে এবার সিংহ দর্শন! সাফারি শুরুর আগে জঙ্গলের পথ চিনছে পশুরাজ
    প্রতিদিন | ০৬ মে ২০২৫
  • নিরুফা খাতুন: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সংরক্ষিত অরণ্যে বেড়াতে গিয়ে চোখের সামনে বাঘ, হাতি বা গন্ডার দেখে পর্যটকদের আশ মেটে না। এবার সেই তালিকায় জুড়তে চলেছে সিংহদর্শনের রোমাঞ্চ। আগামী শীতের মরশুমে উত্তরবঙ্গে সিংহ সাফারি শুরু করতে চাইছে রাজ্য সরকার। তার আগে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারির অরণ্যপথের সঙ্গে পশুরাজদের পরিচয় করানোর পালা শুরু হয়েছে। এখন প্রতিদিন সকাল হলে খাঁচার ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে পড়ছে সিংহরা। সারাদিন জঙ্গলে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার আগে ডেরায় ফিরছে।

    শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারিতে বাঘ সাফারি চালু রয়েছে। যার টানে উত্তরবঙ্গের এই বন্যপ্রাণ উদ্যানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। আকর্ষণ আরও বাড়াতে বাঘ সাফারির পাশাপাশি সিংহ সাফারি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বনদপ্তর। সেজন্য গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ত্রিপুরার চিড়িয়াখানা থেকে এক জোড়া সিংহ সেখানে আনা হয়েছে। কিন্তু তাদের নামকরণ নিয়ে বিতর্ক বাঁধে। ত্রিপুরা চিড়িয়াখানায় তারা আকবর ও সীতা নামে পরিচিত ছিল। বেঙ্গল সাফারিতে পশুরাজ আকবরের সঙ্গে সীতার ‘সংসার’ করায় আপত্তি তোলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। নাম বদলের দাবি তুলে তারা কোর্টে যায়। নাম-জট না কাটা পর্যন্ত সীতার থেকে আকবরকে আলাদা থাকতে হয়েছে দীর্ঘদিন। থমকে যায় সিংহ সাফারির উদ্যোগ।

    অবশেষে আদালতের নির্দেশে গত আগস্টে সিংহ দম্পতির নাম পালটানো হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের নাম রেখেছেন সুরজ ও তনয়া। ইতিমধ্যে তাদের ঘরে দু’টি ফুটফুটে সন্তান এসেছে। সন্তানদের নিয়ে সুখে ঘর করছে সিংহ দম্পতি।। এতদিন তাদের লোহার খাঁচার ব্যারিকেডের বাইরে আসা নিষেধ ছিল। এবার পশুরাজদের জঙ্গলেও ঘোরাফেরার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য জু অথিরিটি।

    বেঙ্গল সাফারির এক আধিকারিক জানান, আগামী শীতে বেঙ্গল সাফারিতে সিংহ সাফারি শুরু হওয়ার কথা। সে জন্য জোরকদমে কাজ চলছে। সুরজ ও তনয়া দীর্ঘদিন চিড়িয়াখানার খাঁচায় বন্দিজীবন কাটিয়েছে। খোলা জঙ্গলে থাকার অভ্যাস হারিয়ে গিয়েছে। বেঙ্গল সাফারিতে আসার পরও তারা অনেকদিন খাঁচাবন্দি ছিল। তাই সাফারি শুরুর আগে ওদের জঙ্গলের পরিবেশ ও পথের সঙ্গে পরিচয় করানো দরকার। যে পথ দিয়ে সিংহ সাফারি হবে, আপাতত সেখানে তাদের ছাড়া হচ্ছে। তারা ওখানে দিনভর স্বমেজাজে ঘোরাফেরাও করছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক
  • Link to this news (প্রতিদিন)