কাশ্মীরে শহিদ জওয়ানের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি, সুতির প্রশাসনিক সভায় ঘোষণা মমতার
প্রতিদিন | ০৬ মে ২০২৫
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ বাংলার জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দিলেন তিনি। মঙ্গলবার সুতির প্রশাসনিক সভায় জওয়ানের পরিবারকে ডেকে স্ত্রী শাহানাজ শেখকে চাকরির ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া সুতির কাশিমনগরের ওয়াকফ অশান্তিতে প্রাণ হারানো এজাজ আহমেদের পরিবারের একজনকেও চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়া আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সুতির প্রশাসনিক সভায় জেলার জন্য একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস কর্মসূচি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। দুপুরে সেখানে পৌঁছে আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য সরকারি পরিষেবা প্রদানের কাজ সেরে নেন। প্রথমেই মঞ্চে ডেকে নেন তেহট্টের শহিদ জওয়ান ঝন্টু আলি শেখের পরিবারকে। জওয়ানের স্ত্রী, দুই সন্তানকে মঞ্চে নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। ঝণ্টুর স্ত্রী শাহানাজের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সবরকমভাবে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এরপর ওয়াকফ অশান্তির মাঝে পড়ে নিহত এজাজ আহমেদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অশান্তিতে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের সকলকে সরকারের তরফে আগেই সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার কথাও বলেন। কিন্তু জাফরাবাদে নিহত বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ ও চন্দনের পরিবার আগেই সরকারি সাহায্য গ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার এই পরিবারের সঙ্গে দেখাও করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু তাঁরা কেউ না থাকায় সেখানে যাননি মমতা। সুতির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ”অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ তুলে রাখা হল। তাঁরা যদি চান, নিতে পারেন।” ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে ঘর দেওয়ার কথা আগেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই পরিবারগুলির হাতে প্রতীকী চাবি তুলে দেওয়া হল। শিগগিরই ঘর পাবেন তাঁরা।