রাজ্যে ওবিসি সমীক্ষায় কেন এত লুকোচুরি? কেন কাউকে কিছু না জানিয়েই চলছে সমীক্ষা? এত গোপনীয়তা কেন? ওই সমীক্ষাকে চ্যালেঞ্জ করে করা মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। খবরের কাগজে এবং পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত বিজ্ঞাপন দিয়ে সমীক্ষা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত জনগোষ্ঠী নিজেদের ওবিসি বলে দাবি করে তাদের সবাইকে সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত বছর ২২ মে রাজ্যে ২০১০ সাল থেকে হওয়া সমস্ত ওবিসি সংরক্ষণে স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআই গবইয়ের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এর পর আদালতে রাজ্য সরকার জানায়, নিয়ম মেনে নতুন করে ওবিসি সমীক্ষা করাচ্ছে তারা। আর তাতেই ওঠে একাধিক প্রশ্ন। আদৌ রাজ্য সরকারের সমীক্ষা করার অধিকার রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয় আদালতে।
সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী মঙ্গলবার মামলাকারীদের আইনজীবী বলেন, ‘কোনও রকম বিজ্ঞাপন না দিয়ে শুধুমাত্র যে ১১৩টি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ বাতিল হয়েছে তাদের নিয়েই ফের সমীক্ষা করা হচ্ছে। অন্য কোনও সম্প্রদায়ের দাবি বিবেচনা করা হচ্ছে না।’ একথা শুনে আদালত প্রশ্ন তোলে, এই গোপনীয়তা কেন? কেন বিজ্ঞাপন না দিয়েই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে? রাজ্য সরকারকে খবরের কাগজ ও পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত বিজ্ঞাপন দিতে হবে বলে ঘোষণা করে বিচারপতি চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ। তবে আদালত এখনই এই সমীক্ষায় হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।