• ‘বদনাম করলেন কেন?’, জগন্নাথ ধাম বিতর্ক নিয়ে ফের তোপ মুখ্যমন্ত্রীর
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৫
  • দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে মূর্তি তৈরিতে পুরীর মন্দিরের নিম কাঠ ব্যবহারের অভিযোগ নিয়ে ওডিশা সরকারের বিবৃতি আসার পরও এখনও শেষ হয়নি বিতর্ক। মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক মঞ্চ থেকেও আরও এক বার এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কী? মুখে ঝামা ঘষা হলো তো! যারা বলেছিলেন চুরি করেছি তারাই বলছেন, না এখান থেকে নেয়নি! আমাকে বলেছিল, আমি জগন্নাথ মন্দিরের কাঠ চুরি করেছি! হলো তো এ বার...।’

    অক্ষয় তৃতীয়ার দিন দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পর থেকেই শুরু একাধিক তরজা। কখনও ধাম শব্দের ব্যবহার নিয়ে সমস্যা, তো কখন মূর্তি তৈরিতে পুরীর নিম কাঠ ব্যবহারের ভিত্তিহীন অভিযোগ। এই অভিযোগের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছিলেন দিঘা মন্দিরে জগন্নাথ মূর্তি তৈরির জন্য কাঠ আদৌ পুরীর জগন্নাথ মন্দির থেকে আসেনি।

    এমনকী, পুরীর সেবায়েত দয়িতাপতিও সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ‘দিঘা মন্দিরের কাঠ অন্য জায়গা থেকে এসেছে বলা হচ্ছে। তা ঠিক নয়।’ এই বিবৃতির পরও থামছিল না বিতর্কের জল। বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে শেষ পর্যন্ত সোমবার ওডিশা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয় বিবৃতি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘দিঘায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহ তৈরির নিমকাঠ পুরী মন্দির থেকে যায়নি।’

    সেই প্রসঙ্গে টেনে এনেই মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাকে বলেছিল আমি জগন্নাথ মন্দিরের কাঠ চুরি করেছি। কানমলা দেওয়া উচিত এদের! খুব তো বদনাম করেছিলি, এবার, কান ধরে ওঠবোস কর! এ বার বলুন কেন আমার বদনাম করেছিলেন? কত ফাইন হওয়া উচিত?’

    দিঘা মন্দির নিয়ে এমন বিতর্কে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এত ভালো মন্দির বানালাম। সারা বিশ্বের মধ্যে আশ্চর্য সুন্দর। তা নিয়ে মিথ্যে অপবাদ। হয় নিজেরা প্রমাণ করুক, নয় মানুষ কড়ায় গন্ডায় জবাব দেবে।’

    নিমকাঠ প্রসঙ্গে আরও এক বার বিজেপিকে তোপ মুখ্যমন্ত্রীর। বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা মিথ্যে রটায় ওরা ফেকু। গাছ কারও কেনা নয়। সব জায়গায় নিম গাছ পাওয়া যায়। আমার বাড়িতেও চারটে নিম গাছ আছে। আমরা অত ভিখিরি নয়, পকেটমারও নয়, জোতদারও নয়, আমরা মানুষের পাহারাদার। আমরা কারও উপর নির্ভরশীলও নই।’ নিমগাছ বিতর্কের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, দিঘা মন্দিরে এর মধ্যেই ৫০০ নিম গাছ পোঁতা হয়ে গিয়েছে। আরও ১০০ গাছ পোঁতার কথা রয়েছে।

  • Link to this news (এই সময়)