ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম ব্যবহার করে ১৬ কোটি টাকার প্রতারণার ঘটনার তদন্তে এ বার উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনায় তারকনাথ ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তিকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বার এই কেসে তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো লাখ লাখ টাকা, সোনার গয়না ও চার চাকা গাড়ি। এই জালিয়াতি কাণ্ডে এ বার গ্রেপ্তার তারকনাথ ঘনিষ্ঠ এক মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর নাম শতরূপা সর্দার।
জানা গিয়েছে, তারকনাথ ঘনিষ্ঠ ওই মহিলা পেশায় একসময়ে বার সিঙ্গার ছিলেন। বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই নারীও জালিয়াতি কাণ্ডে যুক্ত বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, অভিযুক্তের বান্ধবীর গল্ফগ্রিনের বাড়ি থেকে বারুইপুর থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে নগদ ১৬ লক্ষ টাকা, প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং একটি চার চাকার গাড়ি।
বারুইপুরে এক জনপ্রিয় ওষুধ কোম্পানিতে ওষুধ সরবরাহের নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল ওই তারকনাথ ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। গত তিন বছর ধরে ওই ওষুধ কোম্পানিতে ওষুধ সরবরাহের নাম করে তারকনাথ নানা কোম্পানির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে কোনও ওষুধ সরবরাহ করেননি। জালিয়াতি করে বিলাসবহুল জীবনযাপনই ছিল লক্ষ্য।
ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ পেয়ে মামলার তদন্তে নেমে গত ৬ মার্চ নাগেরবাজার এলাকা থেকে তারকনাথকে গ্রেপ্তার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। তাঁর হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১১ লক্ষ টাকার সোনার গয়না, বিলাসবহুল একটি গাড়ি এবং প্রায় এক কোটি টাকার ওষুধের হদিস। মধ্যমগ্রামের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় আরও ৩৫ লক্ষ টাকার ওষুধ। এছাড়া, তার নামে একাধিক জমির খোঁজও পেয়েছে পুলিশ।
দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে তারকনাথের কাছ থেকে তার বান্ধবী ওই মহিলার খোঁজ মেলে। এর পর সোমবার রাতে গল্ফগ্রিনে বান্ধবীর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, গয়না ও গাড়ি। মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তারির পর ওই মহিলাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। পুরো ঘটনার গভীরে যেতে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ।