• প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তের নির্দেশ জেলা স্কুল পরিদর্শকের
    এই সময় | ০৬ মে ২০২৫
  • রাজপুর সোনারপুরের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাটি রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আচার্য প্রফুল্ল নগর প্রাথমিক বিদ্যায়তনের। প্রধান শিক্ষিকা ভবানী সর্দার মন্ডলের বিরুদ্ধে মিড ডে মিল ও স্কুলের উন্নয়নের টাকা তছরুপ-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন সেখানকার শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র শাঁখারি ও অভিভাবকদের একাংশ। তদন্তের নির্দেশ দিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।’ যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষিকা ভবানী সর্দার।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করার কথা আগেই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এর জন্য সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় সকল সুযোগ-সুবিধা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করে থাকে। কিন্তু আচার্য প্রফুল্ল নগর প্রাথমিক বিদ্যায়তনে সে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী, স্কুল ড্রেস, ফর্ম দেওয়া, ভর্তি-সহ ছাত্রছাত্রীদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ক্ষেত্রেও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এ সমস্ত অভিযোগ তোলা হয়েছে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

    কারা তুলেছেন অভিযোগ?

    ওই স্কুলের অভিযোগকারী শিক্ষক প্রতাপ চন্দ্র শাঁখারির অভিযোগ, 'স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন প্রধান শিক্ষিকা৷ তিনি নানা অছিলায় অভিভাবকদের থেকে টাকাও তোলেন। তদন্ত হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে। স্কুলে মিড ডে মিলে দুর্নীতি হচ্ছে। এখানকার খাবার এস আই অফিসে চলে যায়। অথচ আমাদের পড়ুয়ারা দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছে।’ এর আগে প্রতিবাদ করে তিনি প্রধান শিক্ষিকার রোষের মুখে পড়েছেন বলে দাবি প্রতাপ চন্দ্র শাঁখারির।

    তবে স্কুলের ওই শিক্ষকের পাশাপাশি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরাও। তাঁরা অভিযোগ করেন, স্কুলে তাঁদের সন্তানদের ঠিকমতো মিড ডে মিল দেওয়া হয় না। স্কুলের ইলেকট্রিক বিলের জন্যও টাকা চাওয়া হয়। সরকারের নিয়ম অমান্য করে কী করে প্রধান শিক্ষক এই ভাবে টাকা চাইছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।

    কী বলছেন প্রধান শিক্ষিকা?

    এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা ভবানী সর্দার মন্ডল বলেন, ‘২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আমি এখানে দায়িত্ব গ্রহণ করি৷ কিন্তু তারপর থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।’ জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করতে স্কুলে এসেছিলেন সার্কেল ইন্সপেক্টর। তিনি শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন।

  • Link to this news (এই সময়)