মুর্শিদাবাদের অশান্তি ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সামনে ধর্না ও স্মারকলিপি জমা দেওয়ার ডাক দিয়েছিল বিজেপি-র এক সংগঠন। এই অভিযানে কলকাতা হাইকোর্ট মঙ্গলবার এই কর্মসূচির অনুমতি দিলেও মানবাধিকার কমিশনের সামনে ধর্নার সম্মতি মেলেনি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই ধর্নার জন্য জায়গা পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, এই ধর্নায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মঙ্গলবার দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এক হাজার জন কর্মী– সমর্থক নিয়ে সল্টলেকের রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। এরপর বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সভাপতি সূরজকুমার সিংহ। তিনি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই মামলার শুনানির পর ধর্নার অনুমতি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত গত মাসে নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু অঞ্চলে। সেই অশান্তির জেরে তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অশান্তির জেরে অনেকেই ঘরছাড়া হয়ে আশ্রয় নেন পার্শ্ববর্তী জেলা মালদহ এবং প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রথম দিকে বিএসএফের সাহায্য নেয় রাজ্য পুলিশ। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে নামে রাজ্য বিজেপি ও তাদের বিভিন্ন শাখা ও সমর্থিত সংগঠন। প্রতিবাদে মঙ্গলবার এই সংগঠনটি সল্টলেকের মানবাধিকার কমিশনের সামনে ধর্নায় নামার আবেদন জানালেও মঙ্গলবার শুনানিতে বিচারপতি ঘোষ জানান, মামলাকারী সল্টলেকের যে এলাকায় ধর্না দেওয়ার অনুমতি চেয়েছেন, সেই এলাকা খুবই সংকীর্ণ। তাই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের দপ্তরের সামনে নয়, ধর্না দেওয়া যাবে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের সামনে। তবে সেই ধর্নায় মাত্র ২০০ জনের বেশি নিয়ে কর্মসূচি করা যাবে না। এবং স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় তিন থেকে পাঁচ জন প্রতিনিধি নিয়ে কমিশনে যেতে পারবেন।