মেদিনীপুরে প্রকট দিলীপ-শুভেন্দু দ্বন্দ্ব! মারধরে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে FIR মণ্ডল সভাপতির
প্রতিদিন | ০৭ মে ২০২৫
সম্যক খান, মেদিনীপুর: দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্র করে ফের বিজেপির দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে। অভ্যন্তরীণ বিবাদ এবার গড়াল থানা পর্যন্ত। দায়ের হল এফআইআর। দিলীপ অনুগামীরা এফআইআর দায়ের করলেন শুভেন্দু অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আগাম জামিনের জন্য আদালতের দরবার শুরু করেছেন অভিযুক্ত বিজেপি নেতারা। যদিও এবিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি অভিযুক্ত শুভজিৎ, রমাপ্রসাদরা। তারা শুধু বলেছেন, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মুখ খুলব না।
গত ১মে জেলা বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী অনুগামীদের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে। একপ্রকার মেরে তাড়ানো হয় দিলীপ ঘনিষ্ট জেলা সভাপতি শমিত মণ্ডলকে! তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বেল্ট খুলে মারা হয় দিলীপ অনুগামী মেদিনীপুর সদর ব্লক মণ্ডল সভাপতি সুজিত জানাকেও। এফআইআর কপিতে দিলীপ ঘনিষ্ঠ সুজিত জানা এই ঘটনার জন্য শুভজিৎ, রমাপ্রসাদদের মতো নেতাদেরই দায়ী করেছেন।
মারপিটের ওই ঘটনাতেই কোতয়ালি থানায় জেলা বিজেপির প্রথম সারির নেতা রমাপ্রসাদ গিরি, শুভজিৎ রায়, উমাশঙ্কর রায়, বিশ্বজিৎ ভুঁইয়া, সুজয় দাস, বিনোদ হাতি, দেবব্রত কর্মকার, সঞ্জয় নায়েক-সহ একাধিক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শুভজিৎ রায় বিজেপির শুরুর দিন থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। রমাপ্রসাদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দেন। এদের সকলের পরিচয় এঁরা শুভেন্দু অনুগামী। এফআইআর কপিতে দিলীপ ঘনিষ্ট সুজিত জানা ওই মারধরের ঘটনার জন্য শুভজিৎ, রমাপ্রসাদদের মতো নেতাদেরই দায়ী করেছেন। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর তারা দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক পোস্ট করে বিজেপি কর্মীদের উত্তেজিত করেছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যাওয়ার পর, ১ তারিখ মেদিনীপুরের সিপাই বাজারে জেলা সভাপতি যেতেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। শমিত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। জেলা সভাপতিকে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা স্থানীয় নেতাকর্মীদের একাংশ। সেই বাধা অতিক্রম করে কার্যালয়ে ঢুকতেই গণ্ডগোল আরও তীব্র হয়। এরপর বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীরা বেল্ট খুলে শমিতের উপর চড়াও হয়। মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, জেলা সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের মারধর করা হয়। গাড়িও ভাঙচুর করে বলে দাবি। সেই ঘটনায় এফআইআর দায়েরে বিজেপির কোন্দল সামনে এল। যার গড়াল থানা পর্যন্ত।