• বিয়ের বরাত বাতিল, CBI সেজে টাকা আদায়ে চাপ! ইভেন্ট সংস্থার বিরুদ্ধে থানায় নববধূ
    প্রতিদিন | ০৭ মে ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিয়ের আয়োজনে বিস্তর ঝক্কি। সেসব এড়াতে এখন অনেকেই গোটা অনুষ্ঠানের দায়িত্ব দিয়ে দেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে। কিন্তু সেই পদক্ষেপ নিয়ে এখন প্রতি মুহূর্তে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে নববধূকে! সিবিআইয়ের ছদ্মবেশে টাকা চাওয়া হচ্ছে, এমনকী টাকা না দিলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত বারাকপুরের বাসিন্দা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ তদন্তে নেমে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ভয়ার্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার অপেক্ষা নবদম্পতি।

    বারাকপুরের সদর বাজার এলাকার বাসিন্দা স্বাতীলেখা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে ছিল তাঁর। বিয়ের সমস্ত দায়িত্ব তিনি দিয়েছিলেন বেহালার এক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে। এর জন্য আগাম ১ লক্ষ টাকার চেকও দেন স্বাতীলেখা। কিন্তু এরপরই তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসার টাকা তিনি তুলে নেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। এর মাঝে বিয়ে পিছিয়ে যাওয়া ইভেন্ট সংস্থার সঙ্গে কাজের বরাত বাতিল করে দেন স্বাতীলেখা। তাঁর দেওয়া চেকটিও বাউন্স করে। অভিযোগ, চেক বাউন্সের পর থেকেই ওই সংস্থা স্বাতীলেখাদেবীকে টাকা দেওয়ার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকেন। অথচ সংস্থাকে তাঁর দেওয়া বিয়ের আয়োজন পরে বাতিল করে দিয়েছিলেন, তাই টাকা দেওয়ারও প্রশ্ন নেই। কিন্তু সংস্থার চাপ, হুমকিতে জেরবার স্বাতীলেখা ও স্বামী সুমিত। তাঁদের খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবে বারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নবদম্পতি।

    মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন স্বাতীলেখা। তাঁর কথায়, “গত ২০ফেব্রুয়ারি আমার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের আয়োজনের জন্য তখন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থাকে এক লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়েছিলাম। কিন্তু মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় টাকা তুলেনি, তাই চেকটি বাউন্স হয়। বিয়েও পিছিয়ে যায়। তারপর থেকে ওই সংস্থা নগদ ১ লক্ষ টাকা দিতে চাপ দিতে থাকে। তাই আমরা আর সেই সংস্থাকে দিয়ে বিয়ের আয়োজন করিনি। এরপর থেকেই আমাদের খুনের হুমকি দিচ্ছে। স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে দেবে বলছে। সিবিআই পরিচয় দিয়ে নীল বাতির গাড়িতে আমাদের বাড়িতে ১৮ এপ্রিল, ২ মে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে স্বামীকে তুলে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। ভয়ে আমরা কেউ বাড়িতে থাকতে পারছি না।” তাঁর স্বামী সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় কথায়, “খুবই আতঙ্কে আছি। তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করার হুমকি দিচ্ছে বলে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পুলিশ ওই সংস্থাকে ডেকে পাঠিয়েছে শুনেছি।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)