গোবিন্দ রায়: সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগে কার্যত বাধা নেই! অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ ফুরিয়েছে, জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যদিও মামলাকারীদের দাবি, স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হোক। পালটা রাজ্যের দাবি ছিল, স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া হোক। সেই বিষয়ে শুনানিতে মঙ্গলবার আদালতের পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সালে এসএসসির শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষা সুপার নিউমেরারি বা অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল নেই। তার পরও মঙ্গলবার এই শূন্য পদে নিয়োগ জট কাটল না হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। এনিয়ে শুনানি আরও একদিন পিছোল। বুধবার শুনানি। কারা সুপারিশ পেয়েছিলেন, তাঁদের নাম বোর্ডকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৬ সালে SLST-র মাধ্যমে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল প্রস্তুত হয়ে গেলেও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর মামলার কারণে নিয়োগ আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে রাজ্য সরকারের তৈরি অতিরিক্ত ১৬০০ শূন্যপদ নিয়ে এই মামলা। কিন্তু অভিযোগ, অনেক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়ে গেলেও নিয়োগ পাননি। এর নেপথ্যে নাকি হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ। এদিকে সুপ্রিম কোর্টে ২৬ বাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপার নিউমেরারি পদ সংক্রান্ত বিষয়ে শীর্ষ আদালত হস্তক্ষেপ করেনি। সেই রায়কে হাতিয়ার করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তের আবেদন,অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ আর যাতে না দেওয়া হয়। এদিকে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্যের দাবি, ফের অন্তর্বতী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হোক।
দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানান, রাজ্য নিজেই বলছে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার তারাই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সওয়াল করছেন। রাজ্যের কোন বক্তব্যকে গণ্য করা হবে? যদিও বিষয়টি নিয়ে আগামিকাল ফের শুনানি। বিচারপতি মৌখিক নির্দেশ দেন, আপাতত নিয়োগ করা যাতে না হয়। মামলায় আরও কিছু চাকরিপ্রার্থীকে পক্ষভুক্ত করা হয়।