মাথায় লোহার রড মেরে যুবককে খুন, সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল হাড়হিম ছবি
বর্তমান | ০৭ মে ২০২৫
সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: মাথাভাঙা-১ ব্লকের নয়ারহাট বাজারে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা সোমবার গভীর রাতে খুন হন। মাথায় ও শরীরে লোহার রড দিয়ে একাধিকবার আঘাতের সেই হাড়হিম করা ছবি সিসি ক্যামেরায় বন্দি হয়। এ ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুভাষ বর্মন (৪৫)। নয়ারহাট পঞ্চায়েতের পুঁটিমারির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সুভাষ বর্মনের খুন নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।
মাথাভাঙা থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে টহলদারি পুলিস ভ্যানের কর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় বাজারে একজনকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে জানান। মৃত ব্যক্তির মাথার পিছনে গভীর ক্ষত মিলেছে।
তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গামছা দিয়ে মুখ ঢাকা একব্যক্তি ভারী কিছু দিয়ে সুভাষ বর্মনের মাথায় আঘাত করছে। ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
পুলিস অফিসাররা জানিয়েছেন, ঝালমুড়ি বিক্রেতা ওই ব্যক্তি কী কারণে অত রাত পর্যন্ত বাজারে ছিল, সেটা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তেমনই কারও সঙ্গে তাঁর শত্রুতা ছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সুভাষ বর্মন নিরীহ মানুষ। বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করেই সংসার চালাচ্ছিলেন। মৃতের আত্মীয় প্রদীপ বর্মন বলেন, সুভাষ বর্মন প্রতিদিন বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করতে যেতেন। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও ঝালমুড়ি বিক্রি করতে যেতেন। অনেক রাত পর্যন্ত বাড়িতে না ফেরায় কোথাও ঝালমুড়ি বিক্রি করতে গিয়েছেন বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু ভোর ৪টে নাগাদ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর মাধ্যমে জানতে পারি সুভাষকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। পুলিস ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পারি। ওঁর কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল না। কারা কী কারণে মারল কিছুই বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, নয়ারহাটে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে কেউ মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরেছে। পুলিস কর্মীরা তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই ব্যক্তিকে মারতে দেখা গিয়েছে। যে মারছিল তার মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আমরা আশাবাদী শীঘ্রই ধরা পড়বে অপরাধী। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে খুনের ছবি।