পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে,সোমবার রাতের অন্ধকারে চুপিসারে প্রেমিকা স্বর্ণলতা সোরেনের বাড়িতে আসে অভিযুক্ত। পরিবারের লোক বাড়ির পাশে অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকার সুযোগে সে ঘরে ঢুকে খাটের তলায় লুকিয়ে যায়। প্রেমিকাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য এক বোতল পেট্রোল ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে গিয়েছিল হেমন্ত। প্রেমিকা রাতে ঘরে শোওয়ার জন্য এলে দেখে খাটের নীচে কেউ লুকিয়ে রয়েছে। চোর সন্দেহে চিৎকার করতেই স্বর্ণলতার মামাতো ভাই ছুটে আসে। খাটের তলা থেকে যুবককে বের করতেই প্রেমিকা ও তার ভাইয়ের সঙ্গে বচসা শুরু হয় প্রেমিকের। অভিযোগ, সে রাগে প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রেমিকার বুকে কোপ বসায়। দিদিকে বাঁচাতে ভাই সামনে গেলে অস্ত্র দিয়ে তার গলায় এলোপাথাড়ি কোপ দিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। এদিকে জখম যুবক বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আর্তনাদ করতে থাকে। তাকে উদ্ধার করে পরিবারের লোক গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।
হরিরামপুর থানার পুলিস প্রেমিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, প্রায় দু’বছর আগে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় স্বর্ণলতার। পরবর্তীতে বিচ্ছেদ হতেই প্রেমিকা ও তাঁর ভাইকে হুমকি দিত অভিযুক্ত। প্রেমিকার বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। কিন্তু ছোট থেকেই মামার বাড়ি মেহেন্দিপাড়াতে থাকতেন। কর্মসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকতেন। বাড়িতে আসতেই প্রাণে মারার টার্গেট নেয় অভিযুক্ত। তার আগে এলাকা রেকি করে গিয়েছে দফায় দফায়। স্বর্ণলতা বলেন,আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল একসময়। পরে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু আমাকে মারতে না পেরে মামাতো ভাইকে খুন করল। এর শেষ দেখে ছাড়ব। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে যতদূর যেতে হয় যাব।