• নকশালবাড়ির বাতারিয়া নদীর চরে নির্মাণ, বিতর্ক বিরোধী বলে ষড়যন্ত্র, পাল্টা সিপিএমের প্রাক্তন প্রধানের
    বর্তমান | ০৭ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: নকশালবাড়িতে বাতারিয়া নদীর চরে  নির্মিয়মান ভবন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার তা খতিয়ে দেখলেন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ ও নকশালবাড়ি বিডিও প্রণব চট্টরাজ। ওই কাজ নিয়ে অভিযোগের তীর নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সিপিএমের নারায়ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তাকে নোটিস করেছে ব্লক প্রশাসন। 

    যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন প্রাক্তন প্রধান নারায়ণ কর্মকার। এনিয়ে তিনি বলেন, ওই জমির সমস্ত নথি রয়েছে। এদিন পঞ্চায়েত সমিতি থেকে নোটিস পেয়েছি। সেটির যথাযথ উত্তর দেব। বিরোধী বলে আমার উপর চাপ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল। 

    এদিন সভাপতি ও বিডিও সহ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পৃথ্বীশ রায়, নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিত্ ঘোষও এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, এই নির্মিয়মান ভবন নিয়ে অভিযোগ পেয়ে তা বৈধ না অবৈধ তা খতিয়ে দেখতে এসেছি। যে এটা তৈরি করছে তাকে আমরা চিঠি করব। তার কাছে কোনও নথি রয়েছে কি না যাচাই করা হবে। এরপর সেই তথ্য বিএলআরও হাতে তুলে দিয়ে তা ডিমার্কেশন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার হুঁশিয়ারি, বিল্ডিং প্লান ছাড়া কোনও নির্মাণ মেনে নেওয়া হবে না। একই সুরে কথা বলেন নকশালবাড়ি বিডিও প্রণব চট্টরাজ। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই এই নদী সংরক্ষণের জন্য এই এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নদীর চর দখল হলে মেনে নেওয়া যায় না। নকশালবাড়ির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত এই বাতারিয়া নদী। যা মূল বাজার দিয়ে বয়ে গিয়েছে। এটি নকশালবাড়ি ও মণীরাম এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের সীমানা হিসেবেই পরিচিত। তবে অবাধ দখলের জেরে এলাকার কিছু অংশে নালায় পরিণত হয়েছে। যা নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে একাংশের। তবে এবার দখলদারের তালিকায় নাম এল প্রাক্তন প্রধানের। এতেই বিতর্ক তুঙ্গে।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)