• নেই ইমার্জেন্সি এগজিট, রান্নাঘরে অব্যবস্থা মালিকদের সতর্ক করল প্রশাসন
    বর্তমান | ০৭ মে ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: বাইরে থেকে ঝা চকচকে হোটেল বা রেস্তরাঁ দেখে উঠছেন। কিন্তু ভিতরে সুষ্ঠু ব্যবস্থা আছে তো? কতটাই বা নিরাপদ এই হোটেগুলি। কিচেন কতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন? কলকাতার বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর ধূপগুড়ির দ্বিতল হোটেল এবং রেস্তরাঁগুলিতে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে প্রশাসনিক ব্যক্তিরা। 

    মঙ্গলবার ধূপগুড়ি পুরসভা, পুলিস এবং দমকল কর্মীরা ধূপগুড়ির হোটেলগুলিতে পরিদর্শন করে। হোটেল, রেস্তরাঁর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে এই অভিযান। হোটেলগুলির অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। রান্নাঘর, মজুত গ্যাস সিলিন্ডার, আপদকালীন প্রস্থান গেট, পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি খামতির  বিষয়ে হোটেল মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড ঘটলে আপদকালীন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত, সমস্ত বিষয় হোটেল মালিকদের জানানো হয়। এদিন ধূপগুড়ির বেশ কয়েকটি হোটেলে ‘ইমার্জেন্সি এগজিট’ না থাকায়  ক্ষোভ উগরে দেন আধিকারিকরা। দ্রুত এই গেট তৈরির নির্দেশও দেন। অভিযানে এসে দমকল বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতে এবং অগ্নিকাণ্ড ঘটলে যাতে খুব সহজে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সেই উদ্দেশ্যে এই অভিযান। 

    এদিন অভিযান চালানোর সময় ধূপগুড়ির একটি বড় হোটেলের রান্নাঘরে আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখেন আধিকারিকরা। আবর্জনার পাশেই ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। আধিকারিকরা সেই হোটেলের মালিককেও কড়া নির্দেশ দেন। পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিং বলেন, সম্প্রতি কলকাতায় বহুতল হোটেলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনার পরেই আমাদের এই অভিযান। শহরকে সুরক্ষিত রাখতে আমরা বদ্ধ পরিকর।  নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)