• বিরোধীদের উদ্দেশে আলটপকা মন্তব্য নয়, সতর্কবার্তা তৃণমূলের
    বর্তমান | ০৭ মে ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: আলটপকা মন্তব্য করতে বিরোধীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না বলে নেতাদের সতর্ক করল বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপির হাতে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অস্ত্র তুলে দেয়, এমন মন্তব্য করা থেকেও দলের নেতানেত্রীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি নেতাদের ঘরছাড়া করার হুঁশিয়ারি দেওয়া ইন্দপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি রেজাউল খানকেও দলের তরফে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে মঙ্গলবার বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে। কিন্তু বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার কোনও জায়গা নেই। তবে আমাদের এব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিজেপির পাতা ফাঁদে কেউ যেন পা না দেন, সে ব্যাপারে দলের নেতানেত্রীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। 

    ভবিষ্যতে ওই ধরনের আলটপকা মন্তব্য করে বিরোধীদের হাতে প্রচারের অস্ত্র তুলে যেন কেউ না দেন, তাও নেতানেত্রীদের বলা হয়েছে। ইন্দপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁকেও এব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। রেজাউল বলেন, আমি গণতান্ত্রিক উপায়ে বিজেপিকে বাংলা থেকে উৎখাতের কথা বলেছিলেন। তার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। দলের নির্দেশ মেনে চলব। 

    বিজেপি-র বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের ভাষা সংস্কৃতির কোনও বদল হবে বলে মনে হয় না। জেলা থেকে বুথ, প্রতিটি স্তরেই তৃণমূল নেতানেত্রীরা বিরোধীদের ধমক-চমক দিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। তবে এবার ওদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ফলে ওদের গরমগরম ভাষণে আর কাজ হবে না। তৃণমূল নেতাদের মন্তব্যকেও কেউ গুরুত্ব দেবে না। 

    উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলে ইন্দপুর ব্লক কমিউনিটি হলে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সভায় রেজাউল খান বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, গত পঞ্চায়েত, লোকসভা ও তালডাংরা বিধানসভার উপ নির্বাচনে বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দেওয়া হয়েছে। 

    এবারও কী করতে হবে তা তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানেন। মা বোনেরা সঙ্গে থাকলে ভোটের আগে বিজেপি নেতাদের ঘরছাড়া করে দেওয়া হবে। বাড়ি বাড়ি বিজেপি ভোট চাইতে গেলে, তাদের ঝাঁটাপেটাও করা হবে বলে ওই তৃণমূল নেতা নিদান দেন। ঘটনায় বাঁকুড়ার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। বিষয়টিকে ইস্যু করে বিজেপি ময়দানে নামে। 

    বিজেপি নেতাদের একাংশ ওই নেতার মন্তব্যে সাম্প্রদায়িক রং চড়াতে শুরু করেন। তারফলে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন। সেই কারণে ঘাসফুল শিবিরের নেতানেত্রীদের মেপে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।     
  • Link to this news (বর্তমান)